অ্য়াডিলেড: ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়া (India vs Australia) টেস্ট সিরিজে একমাত্র বোলার হিসেবে দুটো টেস্টের চার ইনিংসেই চাপে রেখেছিলেন অজি ব্যাটারদের। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেকের পর থেকে ক্রমেই বিশ্বের এক নম্বর বোলার হয়ে উঠেছেন। এখন তো সর্বকালের সেরাদের মধ্যেও তাঁকে ধরে ফেলা হয়। কিন্তু এই জসপ্রীত বুমরার বোলিং অ্য়াকশন নিয়ে দ্বিধায় ছিলেন তাঁর পরিচিতরা।
পারথ টেস্টে ভারতের অধিনায়ক ছিলেন বুমরাই। তাঁর নেতৃত্বেই দল জিতেছিল সিরিজের প্রথম ম্যাচ। অ্য়াডিলেডে ভারত হারলেও বুমরা উজ্জ্বলই ছিলেন। ফক্স ক্রিকেটকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ভারতীয় দলের তারকা পেসার বলেন, ''আমি একটু দেরিতে ক্রিকেট খেলা শুরু করেছিলাম। কারণ ৬-৭ বছর বয়সেও আমি ক্রিকেট খেলতাম না। আমি হয়ত ১৬, ১৭ বছর বয়স থেকে পাকাপাকি ক্রিকেট খেলা শুরু করি। আমি টিভিতে খেলা দেখতাম। এরপরই ক্রিকেট খেলব, ঠিক করি। প্রথম দিকে সেভাবে কোনও কোচিংও নেইনি আমি।''
ভারতীয় ক্রিকেট দলের সহ অধিনায়ক বলেন, ''আমি টেলিভিশন দেখেই ক্রিকেটের বেশিরভাগ সব শিখেছি। নিজের বোলিং অ্য়াকশনও নিজের মতই করেই তৈরি করেছি। নিজে কোন অ্য়াকশনে সাফল্য পেতে পারি, সেটাও নিজেই ভাবতাম। আমার বোলিং অ্য়াকশন নিয়ে প্রথম থেকেই খুঁতখুঁতে ছিলাম। ভাবছিলাম যে এভাবে বল করতে গিয়ে নিজের পেস কমে যাচ্ছে নাতো। কিন্তু দেখলাম যে পেসে কোনও কমতি হচ্ছে না। পরে এই অ্য়াকশনই ধরে রেখেছিলাম।''
এক দশকের ওপর ক্রিকেট কেরিয়ার। ৭ বছরর আন্তর্জাতিক কেরিয়ার। কোনও কোচই কখনও বুমরার বোলিং অ্য়াকশনে বদল করার কথা বলেননি। সেই ইস্যুতে মুখ খুলে তারকা পেসার বলছেন, ''আমার মনে হয় কেউই আমার বোলিং অ্যাকশনের ওপর ভরসা রাখেননি প্রথমে। সবাই হয়ত ভেবেছিল যে আমি ৬-৭ মাসের বেশি ক্রিকেট খেলতে পারব না এই অ্য়াকশন নিয়ে। হয়ত এতে আখেড়ে আমারই ভাল হয়েছে। আমি নিজের বোলিং অ্য়াকশন নিয়ে নিজের মত করেই ভাবতে পেরেছি। কোনও কোচ আলাদা করে কোনও উপদেশ দেননি এই বিষয়ে আমাকে।''
উল্লেখ্য, অ্য়াডিলেডে খেলার ফাঁকেই চোট পেয়েছিলেন বুমরা। মাঠেই শুয়ে পড়েছিলেন তিনি। কিন্তু এরপর যদিও দ্বিতীয় ইনিংসেও বল করতে দেখা যায় তাঁকে।
আরও পড়ুন: 'প্রত্যেক দেশের প্লেয়ারের সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়েছেন গম্ভীর', ফের বিস্ফোরক আফ্রিদি