অ্যাডিলেড: ফর্মে ফিরলেন রাহুল, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে হাঁকালেন দুরন্ত অর্ধশতরান হাঁকালেন তিনি। সুপার ১২-তে আজ বাংলাদেশের বিরুদ্ধে খেলতে নেমেছে রোহিত বাহিনী। ম্যাচে প্রথমে ব্য়াট করছে ভারত। ওপেনে রোহিতের সঙ্গেই নেমেছিলেন রাহুল। দীর্ঘদিন ধরে জাতীয় দলের জার্সি রান নেই। চোটের পর ফর্মের ধারেকাছে ছিলেন না। প্রশ্ন উঠছিল যে বিশ্বকাপের মতো গুরুত্বপূর্ণ টুর্নামেন্টে এমন অফফর্মের প্লেয়ারকে বারবার খেলানো নিয়ে। তার ওপর আবার দলের সহ অধিনায়ক। অবশেষে সব প্রশ্নের জবাব ব্যাট হাতেই দিলেন রাহুল।


এদিন টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক শাকিব আল হাসান। চলতি টুর্নামেন্টে প্রথম তিন ম্যাচে একেবারেই নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারছিলেন না রাহুল। এই ম্যাচে রোহিত শর্মা মাত্র ২ রান করে দ্রুত ফিরে যাওয়ায় বাড়তি চাপও ছিল। যদিও এদিন নিজের পুরনো মেজাজে ব্যাট করতে দেখা গেল কর্নাটকীকে। ৩২ বলে ৫০ রানের ইনিংসে হাঁকালেন ৪টে ছক্কা ও ৩টি বাউন্ডারি।


বিরাট কীর্তি


বুধবার একটি কীর্তি গড়ে ফেললেন কোহলি। তিনিই হলেন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি রানের মালিক। বিরাট ভেঙে দিলেন শ্রীলঙ্কার কিংবদন্তি মাহেলা জয়বর্ধনের রেকর্ড।


বাইশ গজে যেন পুনর্জন্ম হয়েছে তাঁর। ব্যাটে রানের ফুলঝুরি। পাকিস্তানের পর নেদারল্য়ান্ডসের বিরুদ্ধেও করেছেন ঝকঝকে হাফসেঞ্চুরি। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে (T20 World Cup) সর্বকালের সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী হওয়ার দৌড়ে ছিলেন তিনি। ক্রিস গেলকে পেরিয়ে গিয়েছিলেন আগেই। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ৩৩ ম্যাচে ৯৬৫ রান রয়েছে গেলের। 


তালিকার শীর্ষে ছিলেন জয়বর্ধনে। শ্রীলঙ্কার কিংবদন্তি ক্রিকেটারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ৩১ ম্যাচে ১০১৬ রান রয়েছে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে কোহলির সর্বকালের সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী হওয়াটা ছিল শুধু সময়ের অপেক্ষা। বুধবারই সেই রেকর্ড ভেঙে দিলেন কোহলি। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কোহলির ঝুলিতে ১০৩৩ রান হয়ে গিয়েছে। এবং সেটা অনেক কম ম্যাচ খেলে। মাত্র ২৫ ম্যাচে প্রায় নব্বইয়ের কাছাকাছি গড় রেখে এই রান করেছেন কোহলি।


পন্থ বাইরে


বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অস্ট্রেলিয়ার পিচের গতি ও বাউন্সে তিনি সড়গড়। অজিভূমে দুর্দান্ত কিছু ইনিংস রয়েছে তাঁর। দীনেশ কার্তিক (Dinesh Karthik) বড় রান না পাওয়ায় সেই ঋষভ পন্থকে (Rishabh Pant) ভারতের একাদশে খেলানোর দাবি ক্রমশ জোরাল হচ্ছিল। তার ওপর দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে আগের ম্যাচে পিঠে চোট পেয়েছিলেন ডিকে। তাঁর খেলা নিয়েও ছিল সংশয়। অনেকে ধরেই নিয়েছিলেন যে, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কার্তিকের পরিবর্তে খেলবেন তিনি।