ওয়েলিংটন: আধুনিক ক্রিকেটের ফ্যাব ফোর বললেই চোখের সামনে যে চার জন ক্রিকেটারের ছবি ভেসে আসত, তাঁরা হলেন বিরাট কোহলি, জো রুট, স্টিভ স্মিথ ও কেন উইলিয়ামসন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এখন তাঁদের জায়গা নিয়েছে নতুন প্রজন্ম। বিরাট তো টেস্ট থেকে অবসরই নিয়ে নিয়েছেন। যদি জো রুট এখনও নিজের স্থান ধরে রেখেছেন টেস্টে সর্বকালের সেরা ব্যাটারদের মধ্যে। কেন উইলিয়ামসন ও স্টিভ স্মিথ কিছুটা পিছিয়ে পড়েছেন। সম্প্রতি প্রাক্তন কিউয়ি অধিনায়ক নিজের পছন্দের চার সেরা ব্যাটার বেছে নিলেন। সেখানে রাখলেনই না বিরাট কোহলিকে।

Continues below advertisement

কেন উইলিয়ামসন তাঁর প্রথম পছন্দের টেস্ট ব্যাটার হিসেবে বেছে নিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি ব্যাটার ডন ব্র্যাডম্য়ানকে। তিনি ৫২ টেস্টে ৯৯.৯৪ রান করেছেন। সর্বকালের সেরা ব্যাটার মানা হয় ব্র্যাডম্য়ানকে। এছাড়া সচিন তেন্ডুলকরকে তালিকায় রেখেছেন উইলিয়ামসন। টেস্ট ফর্ম্য়াটে ১৫ হাজার রান করেছেন সচিন। এছাড়া বিশ্বের একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে দুশো টেস্ট খেলার নজিরও গড়েছেন সচিন। এই রেকর্ড আর কেউই হয়ত ভাঙতে পারবেন না।

জ্যাক কালিসকে রেখেছেন উইলিয়ামসন। প্রাক্তন প্রোটিয়া অলরাউন্ডার টেস্ট ফর্ম্য়াটে ১৩ হাজার রানের পাশাপাশি বল হাতে ৩০০ উইকেটও নিয়েছেন। বিশ্বের সেরা অলরাউন্ডারও মানা হয় কালিসকে। একই সঙ্গে টেস্টে চতুর্থ সেরা ব্যাটার হিসেবে উইলিয়ামসন বেছে নিয়েছেন কুমার সাঙ্গাকারাকে। প্রাক্তন বাঁহাতি শ্রীলঙ্কা ব্যাটার টেস্টে ১২ হাজার রান করেছেন। 

Continues below advertisement

ভারত-পাকিস্তান সাম্প্রতিক পরিস্থিতির মধ্যেও মহম্মদ আমির বিরাট কোহলির প্রশংসা করেছিলেন। একটি ছবি পোস্ট করে ছবিটির ক্যাপশনে আমির লেখেন, 'একটা বিষয় নিশ্চিত বিরাট কোহলি ভারতীয় ক্রিকেট ইতিহাস সর্বশ্রেষ্ঠ ক্রিকেটার এবং সবথেকে ভাল মানুষ। কুর্নিশ।' আমিরের পোস্ট করা ছবিটিতে তাঁকে ও বিরাটকে একই ফ্রেমে দেখা যাচ্ছে। সেখানে বিরাটের উপহার দেওয়া ব্যাট আমির পরখ করে দেখে নিচ্ছেনছবিটিতে একটি ইমোজি জুড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন আমির। যেখানে দুই দেশ এবং ক্রিকেটারদের মধ্যে এত বিবাদ, কথা কাটাকাটি ফুটে উঠছে, সেখানে আমিরের এই ছবি দুই ক্রিকেটারের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কেরই পরিচয়বাহক

যদিও এই ছবি ও গত এশিয়া কাপে ভারত ও পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের সম্পর্কের যে ছবি উঠে এসেছে, তা একেবারেই আলাদা। ভারতীয় প্লেয়াররা পাক প্লেয়ারদের সঙ্গে হাত পর্যন্ত মেলাননি। এমনকী পাকিস্তানের ক্রিকেট প্রধানের থেকে ট্রফি নিতেও রাজি হননি তাঁরা।