কলকাতা: বিশ্ব ক্রিকেটের অন্য়তম সেরা মহারণ যদি ভারত-পাকিস্তান (India vs Pakistan) হয়, তো দ্বিতীয় স্থানেই থাকবে ইংল্যান্ড বনাম অস্ট্রেলিয়া দ্বৈরথ। আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও এই দুই দল রয়েছে বি গ্রুপে। তবে শুধু কি তারাই। এই গ্রুপে রয়েছে নামিবিয়া, স্কটল্যান্ড ও ওমানও। আপাতদৃষ্টিতে দেখতে গেলে তিনটি দলই গ্রুপে প্রথম দুটো দলের থেকে খাতায় কলমে ভীষণ দুর্বল। কিন্তু কুড়ির ফর্ম্য়াটে তো ফেভারিট বলে কিছুই হয় না। কিছুদিন আগেই বাংলাদেশকে টি-টোয়েন্টি সিরিজে হারিয়ে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের দল। বি-গ্রুপেও কি অঘটন হবে?


অস্ট্রেলিয়া


নিঃসন্দেহে এই গ্রুপে সবচেয়ে শক্তিশালী অস্ট্রেলিয়া দল। গত বছর টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ও ওয়ান ডে বিশ্বকাপ ঝুলিতে পুরেছে তারা। ২০২১ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপও অ্য়ারন ফিঞ্চের নেতৃত্বে জিতেছিলেন অজি শিবির। যদিও এবারের দলটিতে প্রচুর তরুণ মুখ দেখা যাবে। মিচেল মার্শের নেতৃত্বে খেলতে নামবে দল। ওপেনিংয়ে ট্রাভিস হেড ও ওয়ার্নার জুটি নিঃসন্দেহে ভয়ঙ্কর। বিশেষ করে হেড যে ফর্মে রয়েছেন। মিডল অর্ডারে গ্লেন ম্য়াক্সওয়েল কি করতে পারেন, সবার জানা। এছাড়া জস ইংলিশ, টিম ডেভিড, মিচেল মার্শ নিজে আছেন। বোলিং ডিপার্টমেন্টে প্যাট কামিন্স, মিচেল স্টার্কের সঙ্গে জশ হ্যাজেলউড। স্পিনার অলরাউন্ডার হিসেবে রয়েছে অ্যাস্টন অগার। এই অজি দলে বোলিংয়ে ৬-৭টি বিকল্প রয়েছে।


ইংল্যান্ড


টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন। ২০২২ সালে জস বাটলারের নেতৃত্বেই খেতাব জিতেছিল ব্রিটিশরা। এবারও তা ধরে রাখার লক্ষ্যেই ২২ গজে নামবে ইংল্যান্ড দল। সবচেয়ে বড় প্লাস পয়েন্ট জোফ্রা আর্চারের ২২ গজে প্রত্যাবর্তন। এছাড়াও বাটলার, সল্টরা ফর্মে রয়েছেন। আইপিএলে ভুরি ভুরি রান করেছেন তারা। ওপেনিংয়ে এই জুটিই হয়ত নামবেন। অলরাউন্ডার হিসেবে লিয়াম লিভিংস্টোন, মঈন আলি, স্যাম কারানরা রয়েছেন। প্রত্যেকেই আইপিএলে খেলে গিয়েছেন সম্প্রতি। ফলে ছন্দেই রয়েছেন। বোলিং ডিপার্টমেন্টে অভিজ্ঞ ক্রিস জর্ডন, মার্ক উডের সঙ্গে রিস টোপলি ও এই ফর্ম্যাটে দেশে জার্সিতে এত বড় টুর্নামেন্টে প্রথমবার নামবেন স্পিনার টম হার্টলি। 


নামিবিয়া


অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ওয়ার্ম আপ ম্য়াচে মঙ্গলবারই হারতে হয়েছে নামিবিয়াকে। কিন্তু আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কিন্তু বি গ্রুপের অন্যতম আন্ডারডগ দল এই নামিবিয়াই। এই দলেই রয়েছেন প্রাক্তন প্রোটিয়া তারকা ডেভিড উইজ। বয়স হয়ে গেলেও বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। গেরহার্ড এরাসমাসের নেতৃত্বে নামিবিয়া দল খেলতে নামবে টুর্নামেন্টে। ওয়ার্ম আপ ম্য়াচে অজিদের বিরুদ্ধে ভাল খেলেছেন জেন গ্রিন, মালান ক্রুগাররা। তাঁদের আত্মবিশ্বাস বাড়বে টুর্নামেন্টে খেলতে নামার আগে। বোলিং বিভাগে বার্নাল্ড স্কোলটজ ওয়ার্ম আপ ম্য়াচে ২ উইকেট নিয়েছেন। বোলিং ডিপার্টমেন্টকেই তিনিই নেতৃত্বে দেবেন। 


ওমান ও স্কটল্য়ান্ডও রয়েছে এই গ্রুপে। ওমানের প্রথম ম্য়াচ বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে। প্রস্তুতি ম্য়াচে তারা গতকালই পাপুয়া নিউ গিনির বিরুদ্ধে জয় ছিনিয়ে নিয়েছিল। স্কটল্য়ান্ড ১৯৯৪ সালে আইসিসির সদস্যপদ লাভ করে। ১৯৯৯ বিশ্বকাপ খেলার যোগ্যতা অর্জন করলেও পাঁচটি খেলাতেই হেরে গিয়েছিল দলটি। এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অঘটন ঘটানোর জন্য মরিয়া থাকবেন এই দুই দল।