লন্ডন: কোনওদিন আর প্রিয় ২২ গজে ফিরতে পারবেন কি না, সেটাই তো জানতেন না। আর আজ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে আমেরিকায় উড়ে গিয়েছেন। তার আগে আইপিএলে দিল্লি ক্যাপিটালসের জার্সিতে নেতৃত্বভারও সামলেছেন। কিন্তু গাড়ি দুর্ঘটনার সেই বিভীষিকা এখনও টাটকা ঋষভ পন্থের স্মৃতিতে। বিশ্বকাপের জন্য আমেরিকার বিমান ধরার আগে প্রাক্তন সতীর্থ শিখর ধবনের সঙ্গে এক আড্ডায় নিজের জীবনের সবচেয়ে খারাপ সময়ের কথাই মনে করলেন তরুণ এই উইকেট কিপার ব্যাটার। পন্থ বলছেন, ''সেই গাড়ি দুর্ঘটনা আমার জীবনটা পুরোপুরি বদলে দিয়েছে। ওই ঘটনাটি ঘটার পর আমি  তো আদৌ আর বাঁচব কি না, বুঝতে পারছিলাম না। কিন্তু ঈশ্বরই আমাকে বাঁচিয়ে দিয়েছেন।''


আইপিএলে দিল্লিকে প্লে অফে তুলতে না পারলেও নিজে ২২ গজে ফিরে দুর্দান্ত পারফর্ম করেছেন। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ১৫ সদস্য়ের ভারতীয় দলেও সুযোগ পেয়েছেন। পন্থ বলছেন, ''দুর্ঘটনা ঘটার পর সবকিছু কেমন যেন অন্ধকার হয়ে গিয়েছিল। আমি বিমানবন্দরেও আর যাওয়র সাহস পেতাম না। হুইলচেয়ার, ক্রাচে লোকে দেখবে, এটা ভেবেই শিউরে উঠতাম। অসহ্য শারীরিক যন্ত্রণাও ছিল গত কয়েক মাস। ঠিক করে দাঁতও মাজতে পারিনি। ভেবেছিলাম আর কখনও হয়ত ২২ গজেও ফিরতে পারব না।''






গত আইপিএলে খেলতে পারেননি। বিশ্বকাপ, এশিয়া কাপ কোনও টুর্নামেন্টেই অংশ নিতে পারেননি। কারণ তখন ঠিকভাবে হাঁটতেই পারতেন না। অবশেষে এবারের আইপিএলে মাঠে ফিরলেন তিনি। কেমন ছিল সেই অভিজ্ঞতা? ঋষভ বলছেন, আমার মনে হয় ওই সময়টা আমার জন্য আত্মবিশ্বাস ও মানসিক দৃঢ়তা বজায় রাখা ছিল সব চেয়ে জরুরি। অনেকেই সেই সময় আমার পাশে ছিল। অনেকের মেসেজ পেয়েছি। আমার জন্য প্রার্থনা করেছেন সবাই। কিন্তু আমাকে নিজের ফিটনেসটা বজায় রাখার দায়িত্বটা নিজেকেই নিতে হয়েছিল। তবে এদিন পরে ক্রিকেটে ফেরার পরে আমি বেশ আনন্দ উপভোগ করছিলাম। কোনও বাড়তি চাপ আমি অনুভব করিনি।''


গত আইপিএলে ১৩ ম্য়াচ খেলে মোট ৪৪৬ রান করেছেন পন্থ। ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ অপরাজিত ৮৮। ১৫৫-র ওপর স্ট্রাইক রেটে ব্যাটিং করেছেন দিল্লির এই বাঁহাতি উইকেট কিপার ব্যাটার। তিনটি অর্ধশতরানও রয়েছে তাঁর ঝুলিতে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য পন্থের সঙ্গে স্যামসনকেও প্রথম পনেরোয় বেছে নিয়েছেন নির্বাচকরা। আশা করা যায় পন্থই একাদশে প্রথম সুযোগ পাবেন।