নয়াদিল্লি: সীমিত ওভারের ক্রিকেটে ভারতের (Team India) সর্বকালের অন্যতম বড় ম্যাচ উইনার যুবরাজ সিংহ (Yuvraj Singh)। ভারতের ২০০৭ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এবং ২০১১ সালের ৫০ ওভার বিশ্বকাপ জয়ের পিছনে যুবরাজের অবদান ভোলার মতো নয়। ২০১১ সালের বিশ্বকাপের সেরা খেলোয়াড়ও নির্বাচিত হন ভারতের তারকা অলরাউন্ডার। তবে বিশ্বকাপের পরেই ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘদিন মাঠের বাইরে থাকতে হয় যুবরাজকে। তাঁর ক্যান্সার থেকে ফিরে আসার পরেই মহেন্দ্র সিংহ ধোনির (Mahendra Singh Dhoni) মধ্যে পরিবর্তন লক্ষ্য করেন বলে দাবি করেন যুবরাজ।
যুবরাজ সিংহ ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার পর ২০১২ সালে জাতীয় দলে প্রত্যাবর্তন করেন। তাঁর প্রত্য়াবর্তনের পরেই যুবরাজ ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে নিজের কেরিয়ারের সর্বাধিক ১৫০ রানের ইনিংসটি খেলেন। তাঁর প্রত্যাবর্তনের সময় বিরাট কোহলি তাঁকে সমর্থন করেন বলে জানান যুবরাজ। তিনি বলেন, 'আমি যখন প্রত্যাবর্তন ঘটাই, তখন বিরাট কোহলি আমায় সমর্থন করেছিল, আমার পাশে দাঁড়িয়েছিল। ওর সাহায্যের জেরেই আমি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরতে পেরেছি। তবে এমএস ধোনি আমায় জানিয়েছিল যে নির্বাচকরা ২০১৯ সালের বিশ্বকাপের জন্য আমার প্রতি আগ্রহী নয়। আমাকে নিয়ে ভাবছে না।'
এরপরেই যুবরাজ দাবি করেন ২০১১ সালের বিশ্বকাপ জয়ের পর ধোনি বদলে যান। তিনি যোগ করেন, '২০১১ সালের বিশ্বকাপ পর্যন্ত ও (ধোনি) আমার ওপর দারুণ ভরসা করত। আমি ওর প্রধান প্রচণ্ড ভরসা করত। তবে ক্যান্সার সারিয়ে আমি দলে ফেরার পরেই সবকিছু বদলে যায়। ততদিনে খেলাও খানিকটা বদলে গিয়েছিল, তাই ২০১৫ সালের বিশ্বকাপে আমার বাদ পড়ার জন্য আমি কারুর দিকে আঙুল তুলতে পারি না। ধোনি বদলে গিয়েছিল। তবে আমি বুঝতে পারি যে অধিনায়ক হিসাবে সবসময় সবকিছুর ব্যাখা দেওয়াটা সম্ভব নয়। দলের ভাল পারফর্ম করাটাই দিনের শেষে সবথেকে জরুরি বিষয়।'
যুবরাজ সিংহ ২০১৭ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে নিজের শেষ আন্তর্জাতিক ওয়ান ডে ম্যাচ খেলেছিলেন। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটেও তাঁকে সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। তবে আশানুরূপ পারফর্ম করতে না পারায় তাঁকে সেই দল থেকেও পরবর্তীতে বাদ পড়তে হয়।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন
https://t.me/abpanandaofficial
আরও পড়ুন: লক্ষ্মীলাভ করতেও ভরসা উপকারী লবঙ্গ! লাভ পাবেন চাষিরা