কলকাতা: গত রঞ্জি মরসুম শেষে মনোজ তিওয়ারির (Manoj Tiwary) অবসর নিয়ে কানাঘুষো শোনা যাচ্ছিল। সেইসব জল্পনা সরিয়ে এ মরসুমের প্রথম ম্যাচে মনোজ শুধু বাংলার (Bengal Cricket Team) জার্সি গায়ে মাঠেই নামেননি, উত্তরপ্রদেশের বিরুদ্ধে দলকে নেতৃত্ব দিয়ে জয়ও এনে দিয়েছেন। আজই ইডেন গার্ডেন্সে রিঙ্কু সিংহদের হারিয়েছে বাংলা। অপরাজিত অর্ধশতরান করে শেষ পর্যন্ত মাঠে থেকে দলকে ম্যাচ জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন মনোজ। সেই ম্যাচের পরেই বড় ঘোষণা করলেন তিনি।


মনোজের অবসর


ম্যাচ শেষে মনোজ জানান এই মরসুমে বাংলাকে রঞ্জি জিতিয়েই তিনি খেলোয়াড় হিসাবে ক্রিকেটকে বিদায় জানাবেন। তিনি বলেন, 'আমার খেলোয়াড় হিসাবে গোটা সফরটাই দারুণ কেটেছে। বাংলার জার্সি গায়ে চাপানোটা আমার কাছে সবসময়ই এক বিশেষ অনুভূতির। আমি এ মরসুমে বাংলাকে রঞ্জি ট্রফি জেতাতে চাই। বাংলাকে রঞ্জি ট্রফি খেতাব উপহার দিয়েই আমি নিজের কেরিয়ার শেষ করতে আগ্রহী।'


৩৭ বছর বয়সি মনোজ বাংলার জার্সিতে ২০০৪ সালে নিজের অভিষেক ঘটান। তার চার বছর পর জাতীয় দলের হয়ে তিনি প্রথমবার খেলেন। ভারতের হয়ে শতরান করার কৃতিত্ব রয়েছে তাঁর দখলে। তবে বাংলার হয়ে একাধিকবার কাছাকাছি পৌঁছেও রঞ্জি জেতা হয়নি মনোজের। গত দুই রঞ্জি মরসুমে বাংলা ফাইনাল ও সেমিফাইনালে পরাজিত হয়েছিল। এবার রঞ্জি খেতাব জিতে বাংলা মনোজকে স্মরণীয়ভাবে বিদায় জানাতে পারে কি না, সেটাই দেখার।


বাংলার জয়


গতকালই সম্ভাবনা দেখা গিয়েছিল। জয়ের জন্য শেষদিনে ১০১ রান প্রয়োজন ছিল বাংলার। হাতে ছিল ৮ উইকেট। এদিন আর মাত্র ২ উইকেট হারিয়েই জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয় টিম বেঙ্গল। গতকা ল অর্ধশতরান হাঁকিয়েছিলেন কৌশিক ঘোষ। আজ অর্ধশতরান হাঁকালেন অনুষ্টুপ মজুমদার ও অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারিও।


ঘরের মাঠে রঞ্জিতে উত্তরপ্রদেশের বিরুদ্ধে খেলতে নেমেছিল বাংলা। প্রথম ইনিংসে ব্যাটিং বিপর্যয় হয়েছিল মনোজ বাহিনীর। ১৬৯ রানে অল আউট হয়ে যায় বাংলা। দ্বিতীয় ইনিংসে অবশ্য ঘুরে দাঁড়ায় ব্যাটিং বিভাগ। গতকাল ৪৪ রানে অপরাজিত থেকে ক্রিজ ছেড়েছিলেন অনুষ্টুপ মজুমদার। এদিন ৬৯ রান করে কৌশিক ঘোষ আউট হন। অন্যদিকে অনুষ্টুপ দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলার জার্সিতে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। ১০টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৮৩ রানের ইনিংস খেলে প্যাভিলিয়নে ফেরেন বাংলার 'ক্রাইসিস ম্যান'।


অনুষ্টুপ ফিরে গেলেও দলের জয় নিশ্চিত করে দেন অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারি। ৭টি বাউন্ডারি ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ৬০ রানে অপরাজিত থেকে যান তিনি। ৪ উইকেট হারিয়ে জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয় বাংলা। এদিন মনোজ তিওয়ারি ও অনুষ্টুপ মজুমদারের ৯৭ রানের পার্টনারশিপই বাংলার জয়ের ভিত গড়ে দেয়। গোটা ম্যাচে ৭ উইকেট নেওয়ার জন্য ম্যাচের সেরা নির্বাচিত হয়েছে ঈশান পােড়েল। 


আরও পড়ুন: এই তিন অলরাউন্ডারকে দলে নিতে চাইবে যে কোনও ফ্র্যাঞ্চাইজি