হারারে: কেরিয়ারের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতেই সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন। ৪৭ বলে ঝোড়ো শতরানের ইনিংস খেলেছিলেন অভিষেক শর্মা। জিম্বাবােয়ে সফরে প্রথম ম্য়াচটি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিজের প্রথম ম্য়াচ ছিল। সেই ম্য়াচে খাতা খুলতে পারেননি। আর দ্বিতীয় ম্য়াচেই শতরান হাঁকিয়ে এই মুহূর্তে টক অ্য দ্য নেশন হয়ে উঠেছে পাঞ্জাবের তরুণ এই ওপেনার। শতরান পাওয়ার পর থেকেই একের পর এক শুভেচ্ছাবার্তা পেয়েছেন অভিষেক। তবে সবার মধ্য়ে স্পেশাল বোধহয় যুবরাজ সিংহের শুভেচ্ছাবার্তা। 


ফোনে পাওয়া শুভেচ্ছাবার্তায় অভিষেককে যুবি বলেছিলেন, ''তুমি প্রথম ইনিংসে শূন্য করেছ। আমার মনে হয় এটা ভাল শুরু।'' এমনটা শুনে প্রথমে চমকে গিয়েছিলেন অভিষেক। এরপরই শতরান পাওয়ার পর যুবির ফোনে শুভেচ্ছাবার্তা আসে, ''আমি তোমাকে নিয়ে ভীষণ খুশি। খুব গর্বিত। এই শতরান তোমার প্রাপ্য। আরও এমন শতরান আসুক তোমার ব্যাট থেকে।''


 






অভিষেক আরও বলেন, ''যুবি পাজি আমার শূন্য রানে আউট হওযার পর কেন খুশি হয়েছিলেন, জানি না। তবে আমার শতরানের ইনিংস দেখলে উনিও হয়ত খুব গর্ব বোধ করবেন।'' গতকাল শতরানের ইনিংস খেলার পর অভিষেক বলেছিলেন, 'আমার মনে হয় আজকে আমি বেশ ভালই পারফর্ম করেছি। কালকের পরাজয়টা আমাদের পক্ষে মেনে নেওয়া সহজ ছিল না। আজ আমার মনে হয়েছিল যে দিনটা আমারই ছিল এবং আমি সেটার সম্পূর্ণ সুযোগ নিই। আমার মতে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে মোমেন্টামটাই আসল এবং আমি শেষ পর্যন্ত নিজের ইনিংস টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি। কোচ, অধিনায়ক এবং টিম ম্যানেজমেন্টকে আমার ওপর আস্থা রাখার জন্য বিশেষ ধন্যবাদ।'


তরুণ ক্রিকেটার আরো বলেন, ''তরুণ ক্রিকেটার হিসাবে আমার সবসময় মনে হয় যে যদি দিনটা আমার হয়, তাহলে আমার সেটার সম্পূর্ণ লাভ তোলা উচিত। আমি এবং রুতু প্রতিটি ওভার শেষেই নিজেদের মধ্যে কথাবার্তা বলছিলাম। রুতু আমায় বলছিল যে সুযোগ পেলে বড় শট মার। আমার নিজের দক্ষতার ওপর সবসময় আস্থা রয়েছে। প্রথম বল হোক, কী শেষ বল, যদি আমার গণ্ডির মধ্যে বল থাকে তাহলে আমি তো বড় শট মারার চেষ্টা করবই।''