নাগপুর: স্লিপ ফিল্ডিংয়ে সেরা ভারতীয় ক্রিকেটারদের নাম উঠলে সেখানে রাহুল দ্রাবিড় (Rahul Dravid), অজিঙ্ক রাহানেদের (Ajinkya Rahane) নাম উঠে আসবে নিঃসন্দেহে। বিশেষ করে স্পিনের বিরুদ্ধে যদিও সেরা স্লিপ ফিল্ডার বাছতে বলা হয়। কিন্তু তাতে অবশ্যই নাম থাকবে না বিরাট কোহলির (Virat Kohli)। তিনি এই মুহূর্তে ভারতীয় ক্রিকেট দলের অন্যতম সেরা ফিল্ডার। কিন্তু স্লিপ ফিল্ডার হিসেবে কোনওদিনই বিরাট উচ্চমানের নয়। নাগপুর টেস্টের প্রথম দিনেই স্লিপে স্মিথের ক্য়াচ মিস করেন বিরাট। আর তারপর থেকেই সোশ্য়াল মিডিয়ায় ট্রোলের শিকার হতে হচ্ছে প্রাক্তন ভারত অধিনায়ককে।


এদিন টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন অজি অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। ইনিংসের ১৬ তম ওভারে অক্ষর পটেলের বলে স্লিপে সহজ ক্যাচ মিস করেন বিরাট। ব্যাট করছিলেন স্টিভ স্মিথ। ওভরের একদম প্রথম বলেই স্লিপে ক্যাচ ওঠে। কিন্তু সেই সহজ ক্যাচ মিস করেন বিরাট। যা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। প্রাক্তন অজি ক্রিকেটার যা দেখার পরই মন্তব্য করেন যে, ''ওঁ খেলার মধ্যেই নেই''। উল্লেখ্য, বিরাটের ক্যাচ মিস হওয়া নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া নিন্দুকেরা ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। অনেকেই তো আবার অজিঙ্ক রাহানেকে ফেরানোর দাবিও তুলেছেন।


জাডেজার সাফল্যের মূলে কী?


ভারতীয় স্পিনারদের দাপটে বর্ডার-গাওস্কর ট্রফির (Border-Gavaskar Trophy) প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ২০০ রানের গণ্ডিও পার করতে পারল না অস্ট্রেলিয়া। মাত্র ১৭৭ রানেই অল আউট হয়ে গেলেন প্যাট কামিন্সরা। যে ব্যাটিং বিপর্যয়ের নেপথ্যে ভারতের বাঁহাতি স্পিনার রবীন্দ্র জাডেজা (Ravindra Jadeja)। পাঁচ মাস পর জাতীয় দলের হয়ে মাঠে নেমে যিনি বল হাতে বিধ্বংসী মেজাজে। একাই নিলেন পাঁচ উইকেট।


দিনের খেলা শেষ হওয়ার পর ম্যাচের সম্প্রচারকারী চ্যানেলে জাডেজা বলছিলেন, 'যেভাবে বল করছিলাম, তাতে আমি খুব খুশি। বোলিং উপভোগ করছিলাম। পাঁচ মাস পরে জাতীয় দলে খেলছি। তাও টেস্ট ক্রিকেটে। কঠিন ছিল। তবে আমি তৈরি ছিলাম। জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে ফিটনেস নিয়ে খুব পরিশ্রম করেছি। অনেকদিন পর একটা প্রথম শ্রেণির ম্যাচ (রঞ্জি ট্রফির) খেলেছিলাম। আর সেই ম্যাচে ৪২ ওভার বল করেছিলাম। টেস্ট ম্যাচ খেলার আগে আমাকে ভীষণ আত্মবিশ্বাস জুগিয়েছিল সেটা।'


জাডেজা যোগ করেছেন, 'উইকেটে বাউন্স ছিল না। আমি অফ স্টাম্প লাইনে বল করে গিয়েছি। কয়েকটা বল ঘুরছিল। কয়েকটা বল সোজা যাচ্ছিল। বাঁহাতি স্পিনার হিসাবে ব্যাটসম্যানদের কট বিহাইন্ড বা স্টাম্পড করাতে পারলে খুব ভাল লাগে। টেস্ট ক্রিকেটে সব উইকেটই আনন্দ দেয়।'