রাঁচি: মাঠে তিনি হাজার চাপের মুখেও থাকতেন ঠান্ডা ঠান্ডা কুল কুল। যে কারণে তাঁর নামকরণই হয়ে গিয়েছিল ক্যাপ্টেন কুল। অথচ সেই মহেন্দ্র সিংহ ধোনিই (MS Dhoni) ঘাবড়ে গিয়েছিলেন। বেশ স্নায়ুর চাপে ভুগছিলেন ভারত বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা টি-২০ বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচ চলাকালীন?


টি-২০ বিশ্বকাপের রুদ্ধশ্বাস ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে মাত্র ৭ রানে হারিয়ে দ্বিতীয়বারের জন্য টি-২০ বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয় ভারত। যদিও একটা সময় ভারত কার্যত হারতে বসেছিল। ৩০ বলে ৩০ রান দরকার ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার। ক্রিজে তখন দুই সেট হয়ে যাওয়া ও নামী ব্যাটার হেনরিখ ক্লাসেন (Heinrich Klaasen) ও ডেভিড মিলার (David Miller)। 


যদিও ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন ভারতীয় পেসাররা - যশপ্রীত বুমরা, অর্শদীপ সিংহ ও হার্দিক পাণ্ড্য। নিয়মিত উইকেট তুলে ম্যাচের রং পাল্টে দেন। শেষ পর্যন্ত ম্য়াচ ও ট্রফি জিতে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয় রোহিত শর্মার ভারত।


সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে ধোনি জানিয়েছেন, সেই ফাইনালের দিন তাঁর বন্ধুরা ভেবেওছিলেন যে, ম্যাচ ভারতের হাত থেকে বেরিয়ে গিয়েছে। যদিও তিনি নিজে বিশ্বাস করেছিলেন, ম্যাচের মোড় যে কোনও মুহূর্তে ঘুরে যেতে পারে।



ধোনি বলেছেন, 'আমরা বাড়িতে বসে খেলা দেখছিলাম। আমার সঙ্গে কয়েকজন বন্ধুও খেলা দেখছিল। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংস শেষ হওয়ার পর অনেকেই চলে গিয়েছিল। আমি একমাত্র বসেছিলাম। ভেবে চলেছিলাম, সত্যিই কি ম্যাচ শেষ? এসো একসঙ্গে খেলা দেখো। ক্রিকেট মাঠে কখনওই কোনও কিছু শেষ হওয়ার আগে পর্যন্ত শেষ হয় না। আমার বন্ধুরা কেউই বিশ্বাস করেনি। তবে আমার মনেও মাঝে মধ্যে প্রশ্ন দেখা দিচ্ছিল।  আমরা সবাই চাই দল জিতুক। তবে তারপরেও ভাবনা আসে, এরপর কী হওয়া উচিত? আমার মনে হয়েছিল ওদের ব্যাটিং অর্ডার কিছুটা দুর্বল।'



দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিংয়ের গভীরতা যে কম এবং ডেথ ওভারে সেই সুযোগ যে ভারত কাজে লাগাবে, তা জনতেন ধোনি। তাঁর কথায়, 'ক্রিকেট মাঠে চাপ তৈরি হলে যা কিছু ঘটতে পারে। কঠিন ম্যাচে একটা শক্ত সুযোগ এলেও তা কাজে লাগাতে হয়। সূর্যকুমারের ক্যাচ সেটাই করেছিল। সকলকে অনেক অনেক অভিনন্দন।'


আরও পড়ুন: ঘরের মাঠে নিজেদের অস্ত্রে নিজেরাই ঘায়েল টিম ইন্ডিয়া? প্রশ্ন তুলছেন কিংবদন্তি ক্রিকেটার





আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।