কলকাতা: রঞ্জি ট্রফির কোয়ার্টার ফাইনালে মঙ্গলবার ঝাড়খণ্ডের বিরুদ্ধে খেলতে নামছে বাংলা। হাইভোল্টেজ ম্যাচে নামার আগে বাংলা শিবির চনমনে কারণ দলের তারকা পেসার মুকেশ কুমারকে ম্যাচে পাচ্ছে তাঁরা। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজের জন্য ঘোষিত ভারতীয় দলে ছিলেন মুকেশ। কিন্তু প্রথম ২ ম্য়াচে তাঁর একাদশে জায়গা হয়নি। তৃতীয় ম্যাচের আগে ম্যানেজমেন্ট ছেড়ে দিয়েছে মুকেশকে। এছাড়াও তরুণ ব্যাটার কাজি জুনেইদ সাইফিকে দলে নিয়েছে বাংলা। উল্লেখ্য, গ্রুপ এ-তে শীর্ষে ছিল বাংলা শিবির।
যদিও বাংলার টানা ৬ ম্যাচে জয়ের দৌড় থেমেছে ওড়িশার বিরুদ্ধে। গ্রুপের শেষ ম্যাচে ড্র করেই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে লক্ষ্মীরতন শুক্লর ছেলেদের। শেষ ৮ ম্যাচে বাংলা ৪টি জয়, ২টো ড্র ও ১টি ম্য়াচ হেরেছে।
ঝাড়খণ্ডের বিরুদ্ধে বাংলার ২ ওপেনারের সেরা ফর্ম বাংলাকে আত্মবিশ্বাস জোগাবে। সুদীপ কুমার ঘরামিও রয়েছেন ফর্মে। এছাড়াও বাংলার ব্যাটিংয়ের মিডল অর্ডারে অনুষ্টুপ মজুমদার ও মনোজ তিওয়ারির মত অভিজ্ঞ তারকাও রয়েছেন। অলরাউন্ডার শাহবাজ আহমেদও জাতীয় দলের স্কোয়াডে ছিলেন। তিনিও ফিরছেন এই ম্যাচে।
পেস বোলিং বিভাগে আকাশ দীপের সঙ্গে এবার থাকবেন মুকেশ। এছাড়াও ঈশান পোড়েল তো রয়েইছেন। ম্যাচে নামার আগে লক্ষ্মীরতন শুক্ল বলছেন, ''সবাই খুব উত্তেজিত হয়ে রয়েছে মাঠে নামার জন্য। আমাদের একটাই লক্ষ্য প্রথম দিনটা দুর্দান্ত শুরু করতে। তাহলে সেই বুঝে পরের দিনগুলো নিজেদের পরিকল্পনা সাজাতে পারব। প্লেয়াররা সবাই নিজেদের সেরাটা দিতে তৈরি।'' ঝাড়খণ্ড গ্রুপ সি-তে রানার্স আপ হয়েছিল। তারা তিনটি ম্যাচে জিতেছিল ও ২টো ম্যাচ হেরেছিল।
শেফালিদের বিশ্বজয়
টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ভারতের ক্যাপ্টেন শেফালি ভার্মা। নিজের জন্মদিনের গিফট হিসেবে বিশ্বকাপ জিততে চেয়েছিলেন। সেই স্বপ্নপূরণ করলেন তিনি। এদিন শুরু থেকেই ভারতীয় বোলারদের দাপুটে বোলিংয়ের সামনে নাকানিচোবানি খেতে হয় ইংরেজ ব্য়াটারদের। তিতাস সাধু সবচেয়ে সফল বোলার ভারতের। তিনি ৪ ওভারে মাত্র ৬ রান খরচ করে ২ উইকেট নেন। অর্চনা দেবী ও পার্শ্বভী চোপড়াও ২টো করে উইকেট নেন। ১টি করে উইকেট নেন মন্নত কাশ্যপ, শেফালি ভার্মা ও সোনম যাদব। ১৭.১ ওভারেই অল আউট হয়ে যায় ইংল্যান্ড।
এরপর ব্যাট করতে নেমে যদিও ২ ওপেনার বেশিক্ষণ ক্রিজে থাকতে পারেননি। শেফালি ভাল শুরু করলেও ১৫ রান করে ফিরে যান। ৫ রান করে স্বেতা শেহরাওয়াত। তবে সৌম্যা তিওয়ারি ও গঙ্গাদি তৃষা ২ জনেই ব্যক্তিগত ২৪ রান করে দলের জয় নিশ্চিত করে দেন। দুর্দান্ত বোলিংয়ের জন্য ম্যাচের সেরা নির্বাচিত হয়েছেন তিতাস সাধু।
এবারই প্রথমবার আয়োজিত হয়েছিল অনূর্ধ্ব ১৯ মহিলাদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। আর প্রথমবারেই বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হল ভারত। ২০০৭ সালে পুরুষদের প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল মহেন্দ্র সিংহ ধোনির নেতৃত্বাধীন ভারত। সেটিও দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতেই আয়োজিত হয়েছিল।