নয়াদিল্লি: মাসখানেক আগেই সর্বসমক্ষে হার্দিক পাণ্ড্য (Hardik Pandya) ও নাতাশা স্ত্যাঙ্কোভিচ (Natasa Stankovic) এক যৌথ বিবৃতি দিয়ে বিবাহবিচ্ছেদের কথা ঘোষণা করেছিলেন। ঠিক কী কারণে দুইজনের বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে, সেই নিয়ে জল্পনা নিয়েছে। তবে নাতাশার সাম্প্রতিক গতিবিধি দেখে সেই বিচ্ছেদের কারণ স্পষ্ট হয়ে উঠছে বলে দাবি অনেকেরই।


বিবাহবিচ্ছেদের কথা ঘোষণার আগেই মডেল অভিনেত্রী নাতাশ ছেলে অগ্যস্তকে নিয়ে সার্বিয়ায় ফিরে গিয়েছেন। সেখানেই ছেলের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছেন তিনি। ছবিও পোস্ট করছেন বিভিন্ন মুহূর্তের। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়াতেই নাতাশাকে প্রতারণা এবং ইমোশনাল অত্যাচার সংক্রান্ত না না পোস্ট লাইক দিতে দেখা গিয়েছে। এমনকী 'টক্সিক রিলেশনশিপ' সংক্রান্ত একাধিক পোস্টেও লাইক রয়েছে নাতাশার। এর থেকেই অনেকের অনুমান হার্দিক ও নাতাশার বিচ্ছেদের কারণ সম্পর্কে প্রতারণার জন্যই হয়েছে।


এমনিতেই হার্দিক ও নাতাশার সম্পর্কের চিড় ধরার কারণ হিসাবে অনেকেই প্রতারণার বিষয়েই সন্দেহ করছিলেন। নাতাশার এই ধরনের পোস্টে লাইক করা সেই জল্পনায় আরও ধোঁয়া দিল। যদিও বিচ্ছেদের কারণ নিয়ে ভারতের তারকা ক্রিকেটার বা মডেল অভিনেত্রী প্রকাশ্যে এখনও পর্যন্ত কিছুই বলেননি। তাতে অবশ্য জল্পনা বাড়ছেই।


১৮ জুলাই হার্দিক ও নাতাশা বিচ্ছেদের কথা ঘোষণা করে লেখেন, 'চার বছর একসঙ্গে থাকার পর, নাতাশা ও আমি বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সম্পর্কটা বাঁচিয়ে রাখার জন্য আমরা সেরা প্রয়াস করেছিলাম, নিজেদের সর্বস্ব দিয়েছিলাম এবং আমরা দুইজনেই মনে করি যে এই সিদ্ধান্ত উভয়ের জন্যই ভাল। দুইজনের জন্যই এই সিদ্ধান্ত নেওয়াটা কঠিন ছিল। বিশেষ করে যে আনন্দ, পারস্পরিক সম্মান এবং একে অপরের সঙ্গ উপভোগ করেছি। একসঙ্গে দারুণ কিছু মুহূর্ত কাটিয়েছি। একটা পরিবার হয়ে উঠেছিলাম।'


এছাড়া বিচ্ছেদ হয়ে গেলেও, পুত্র অগ্যস্তকে যে তাঁরা দুইজনে মিলেই বড় করে তুলবেন, সেকথাও সেই বিবৃতিতে জানানো হয়। বিচ্ছেদের পরেও সম্প্রতি হার্দিক নাতাশার প্রোফাইলে মা ও ছেলে অগ্যস্তর এক ছবিতে কমেন্টও করেছিলেন। তাঁর পারস্পরিক সম্পর্কে অন্তত বাইরে থেকে তেমন কোনও বদল বোঝা না গেলেও, প্রতারণাই যে বিচ্ছেদের কারণ। সেই জল্পনা বাড়ছেই।


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।


আরও পড়ুন: ফের বিপাকে পৃথ্বী, শ্লীলতাহানির অভিযোগে শকে সমন পাঠাল মুম্বই আদালত