ক্রাইস্টচার্চ: নিউজ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে তাঁদের ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার (NZ vs AUS) দাপট অব্যাহত। অষ্টম উইকেটে অ্যালেক্স ক্যারি (Alex Carey) ও প্যাট কামিন্সের (Pat Cummins) লড়াকু ৬১ রানের অপরাজিত পার্টনারশিপে জয় পেল অজ়িরা। অল্পের জন্য শতরান হাতছাড়া করলেও, ৯৮ রানের ইনিংসে দলের জয় সুনিশ্চিত করেই মাঠ ছাড়েন ক্যারি। তিন উইকেটে জয় সুনিশ্চিত করে সিরিজ়ও ২-০ জিতে নিল অস্ট্রেলিয়া।
অস্ট্রেলিয়া দিনের শুরুটা ৭৭ রানের বিনিময়ে চার উইকেট থেকে করে। ট্র্যাভিস হেড ১৭ ও মিচেল মার্শ ২৭ রানে ক্রিজে অপরাজিত ছিলেন। দিনের শুরুতেই আর তিন রান যোগ করার পরেই হেডকে সাজঘরে ফেরান কিউয়ি অধিনায়ক টিম সাউদি। ৮০ রানে পাঁচ উইকেট হারিয়ে বিরাট চাপে পড়ে গিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু এখান থেকেই মিচেল মার্শকে সঙ্গে নিয়ে প্রত্যাবর্তনের লড়াইটা শুরু করেন ক্যারি। ষষ্ঠ উইকেটে মার্শ ও ক্যারি ১৪০ রানের পার্টনারশিপ গড়েন।
ঠিক যখন মনে হচ্ছিল মার্শ ও ক্য়ারিক অনায়াসে অস্ট্রেলিয়াকে জয়ের দিকে নিয়ে যাবেন। তখনই ফের এক ট্যুইস্ট। বিন সিয়ার্স মার্শকে ৮০ রানে ফেরান। ১০২ বলে ১০ চার ও একটি ছক্কা হাঁকানো মার্শের বিধ্বংসী ইনিংস সমাপ্ত হয়। ঠিক তার পরের বলেই মিচেল স্টার্কও খাতা খোলার আগেই ফেরেন। ফের জমে ওঠে ম্যাচ। তবে কামিন্স ব্যাট হাতে অধিনায়কোচিত ৩২ রানের ইনিংসে ক্যারিকে যোগ্য সঙ্গ দেন। জয় সুনিশ্চিত করেই মাঠ ছাড়েন। ফলে নিজেদের দেশে অস্ট্রেলিয়াকে টেস্ট হারানোর কিউয়িদের অপেক্ষা বাড়ল। কিউয়িদের হয়ে ইনিংসে সর্বাধিক চার উইকেট নেন সিয়ার্স।
৯৮ রানের অপরাজিত ইনিংসের পাশাপাশি ম্যাচে দশ দশটি ক্যাচ ধরে ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হন অস্ট্রেলিয়ার তারকা কিপার-ব্যাটার ক্যারি। তবে কিউয়িরা সিরিজ় হারলেও দুই টেস্টে মোট ১৭ উইকেট এবং ১০১ রান করার সিরিজ় সেরা হলেন ম্যাট হেনরি।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে
আরও পড়ুন: আইপিএলে শুরু থেকেই খেলবেন ঋষভ? পন্থকে ঘিরে দিল্লির পরিকল্পনা নিয়ে খোলামেলা কোচ পন্টিং