নয়াদিল্লি: বহুদিন আগেই আগামী কয়েক বছরের মেগা টুর্নামেন্টগুলির জন্য আইসিসি নিজেদের সূচি প্রকাশ করে দিয়েছে। সেই সূচি অনুযায়ী ২০২৫ সাল অর্থাৎ পরের বছর আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির (ICC Champions Trophy 2025) আসর বসার কথা পাকিস্তানে। কিন্তু ভারত-পাকিস্তানের রাজনৈতিক সম্পর্ক যা, তাতে বিরাট, রোহিতদের পাকিস্তানে খেলতে যাওয়া নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে।
সম্প্রতি এক রিপোর্ট অনুযায়ী পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের তরফে আইসিসির সামনে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়ে যে প্রস্তাবিত সূচি রাখা হয়েছে, তাতে টু্র্নামেন্ট ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে এবং ৯ মার্চ ফাইনাল হয়ে শেষ হবে। এই রিপোর্ট অনুযায়ী পাকিস্তানের তিনটি শহর, করাচি, রাওয়ালপিন্ডি ও লাহৌর তিনটি শহরের তিনটি মাঠে ম্যাচগুলি আয়োজিত হবে। ভারত লাহৌরে নিজেদের ম্যাচগুলি খেলবে। সম্প্রতি ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা আইসিসি আধিকারিকদের এক দল পাকিস্তানে নিরাপত্তা খতিয়ে দেখতে গিয়েছিলেন এবং তারা নিরাপত্তার বন্দোবস্ত দেখে সন্তুষ্ট।
তবে ভারত সরকার দলকে (Indian Cricket Team) পাকিস্তানে খেলতে যাওয়ার অনুমতি দেবে কি না, সেই নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। এক্ষেত্রে হাইব্রিড মডেল এক উপায় হতে পারে। এইভাবেই গত বারের এশিয়া কাপও আয়োজিত হয়েছিল। সেখানে পাকিস্তানে অনেকগুলি ম্যাচ আয়োজিত হলেও, ভারতীয় দল শ্রীলঙ্কায় নিজেদের ম্যাচগুলি খেলে। তবে আগামী বছরের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ক্ষেত্রে এই মডেলের প্রস্তাবে রাজি নয়, পাকিস্তান বোর্ডের কর্তারা। অন্তত রিপোর্টে এমনটাই দাবি করা হচ্ছে।
এই বিষয়ে অবগত পিসিবির এক সূত্র জানান, 'আমরা হাইব্রিড মডেলের জন্য রাজি নই। তবে ভারতের ম্যাচগুলি কেবল লাহৌরে আয়োজিত হবে, এই সুবিধাটুকু আমরা দিতে পারি। ভারতীয় দলকে পাকিস্তানের এক শহর থেকে অন্য শহরে সফর করতে হবে না এবং লাহৌরে দলকে কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে রাখা হবে।'
শেষমেশ কি ভারতীয় দল এবং সরকারের চাপে ফের একবার হাইব্রিড মডেলেই টুর্নামেন্ট আয়োজিত হবে। না চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি পাকিস্তান থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। নাকি ভারতীয় দল বহু বছর পর পড়শি রাষ্ট্রে আবার ক্রিকেট খেলতে পা রাখবে, সেটাই দেখার বিষয়।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টাও কাটেনি, ভারত-যুক্তরাষ্ট্র ম্যাচ শেষ হতে না হতেই শুরু নাসাউ স্টেডিয়াম ভাঙার কাজ