ধর্মশালা: বৃহস্পতিবার, ৭ মার্চ ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে পঞ্চম টেস্টে (IND vs ENG 5th Test) মাঠে নামলেই ১৪তম ভারতীয় ক্রিকেটার হিসাবে শততম টেস্ট খেলার মাইলফলক স্পর্শ করবেন আর অশ্বিন (R Ashwin)। অনিল কুম্বলে বাদে ভারতের হয়ে অশ্বিনের থেকে অধিক উইকেট নেওয়ার কৃতিত্ব আর কারুর নেই। তবে এত দুরন্ত রেকর্ড সত্ত্বেও, ছবিটা বিদেশের মাটিতে বদলে যায়। বিশেষত সেনা দেশে (দক্ষিণ আফ্রিকা, ইংল্যান্ড, নিউজ়িল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়া) সাম্প্রতিক সময়ে অশ্বিন ভারতীয় একাদশে সুযোগই পাননি। সেই নিয়ে তাঁকে প্রশ্ন করা হলেই বিস্ফোরক মন্তব্য অশ্বিনের।
সেনা দেশে ভারতীয় ম্যানেজমেন্ট সাধারণত এক স্পিনার নিয়েই মাঠে নামা পছন্দ করে। সেক্ষেত্রে লড়াইটা মূলত রবীন্দ্র জাডেজা এবং আর অশ্বিনের মধ্যেই হয়। কিন্তু সেনা দেশে অনেক সময়ই ভারতীয় ব্যাটিংকে চাপে পড়তে দেখা গিয়েছে। সেখানে দুই স্পিনারের মধ্যে জাডেজার ব্যাটিং দক্ষতা বেশি ভাল হওয়ায় তাঁকে দলে সুযোগ দেওয়া হয় বলে একাংশ মনে করে। আবার আরেকাংশের দাবি জাডেজার নিয়ন্ত্রণ বেশি ভাল হওয়ায় তাঁকে অশ্বিনের বদলে সুযোগ দেওয়া হয়। সেনা দেশে অশ্বিনের ৩৯.২৬-র থেকে জাডেজার বোলিং গড় ৩৭.২৩, বেশ খানিকটা কম। জাডেজার ইকোনমি রেটও অশ্বিনের থেকে ০.১৩ কম।
তবে অশ্বিনের গুচ্ছ গুচ্ছ উইকেট সত্ত্বেও তাঁকে সুযোগ না দেওয়া নিয়ে বারংবার প্রশ্ন উঠেছে। শততম টেস্টের আগে অশ্বিনকে আরেক কিংবদন্তি অনিল কুম্বলের তরফে জিজ্ঞেস করা হয়, সেনা দেশগুলিতে তাঁর উইকেট নেওয়ার দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়, নিজেকে প্রমাণ করার যথেষ্ট সুযোগ দেওয়া হয় না তাঁকে, এই বিষয়টিকে তিনি কীভাবে দেখেন। জবাবে অশ্বিনের দাবি তাঁর তুলনায় বাকিরা নিজেদের প্রমাণ করার বেশি সুযোগ পায় এটা ঠিক, কিন্তু বিষয়টার সঙ্গে তিনি মানিয়ে নিয়েছেন।
অশ্বিনকে সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে বলতে শোনা যায়, 'আমি বিতর্কের জন্ম দিতে চাই না। আমার মনে হয় বোলাররা সময়ই ব্যাটারদের থেকে পিছিয়ে থাকে। সেটা হয়তো ব্যাটাররা নিজেদের প্রমাণ করার একটাই সুযোগ পান বলে হয়। ব্যাটিংয়ে আউট হলে তো আউট, সব শেষ। এই বিষয়টা নিয়ে আগে আমি প্রচুর ভাবতাম। নিজেকে প্রশ্ন করতাম যে নিজেকে প্রমাণ করার জন্য আমি একটাই সুযোগ পেলেও বাকিরা কেন এত সুযোগ পাবেন? তবে সেটার সঙ্গে আমি বর্তমানে আপোস করে নিয়েছি।'
অশ্বিনের স্পষ্ট জবাব দিনের শেষে দলের জয়টাই সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ এবং তিনি দল জয়ী হলেই সবথেকে খুশি হন। 'আমি যদি ম্যাচ না খেললেও, পাঁচ দিনের লড়াই পর দল জয় পেলে আমার থেকে বেশি খুশি আর কেউ হয় না। আমি ছোটবেলায় মাত্র একদিনের জন্য হলেও ভারতের জার্সি গায়ে গলানোর স্বপ্ন দেখতাম। এখন পরিস্থিতি বদলে গিয়েছে বলে তো আর আমি নিজেকে দেশের জয়ের আগে রাখতে পারি না। হ্যাঁ, হতাশাজনক অনেক দিনই কাটিয়েছি আমি। তবে ভারতের সর্বকালের সেরা কিছু ক্রিকেটারদের সঙ্গে সাজঘর ভাগ করার সৌভাগ্যটাও হয়েছে।' বলেন ভারতের তারকা স্পিনার।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে
আরও পড়ুন: ভারত-ইংল্যান্ড পঞ্চম টেস্টের আগে হঠাৎ ধর্মশালায় ডাক পড়ল রিঙ্কুর!