বেঙ্গালুরু: যেই ২২ গজে গোটা ভারতীয় দল ৫০ রানের গণ্ডি পার করতে পারেনি। সেখানেই এক চোখধাঁধানো শতরান হাঁকালেন রাচিন রবীন্দ্র (Rachin Ravindra)। মাত্র ১২৪ বলে নিজের কেরিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি ও ভারতীয়ভূমে প্রথম সেঞ্চুরিটি হাঁকালেন রবীন্দ্র।


চিন্নাস্বামীতে ম্যাচ, বেঙ্গালুরু শহর, সবটাই রাচিনের কাছে বিশেষ অর্থবাহী। নিউজ়িল্যান্ডের হয়ে খেললেও রাচিন কিন্তু ভারতীয় বংশোদ্ভূত। 'গার্ডেন সিটি'র সঙ্গে তাঁর সম্পর্কটা বহুদিনের। রাচিনের বাবা রবি কৃষ্ণমূর্তি ও মা দীপা, দুইজনেই বেঙ্গালুরুতে থাকতেন। তাঁর দাদু ও ঠাকুমা টি বালাকৃষ্ণ ও পূর্ণিমা তো এখনও বেঙ্গালুুরুতেই থাকেন। ছোটবেলায় প্রতি বছরই ওয়েলিংটন থেকে বেঙ্গালুরুর লম্বা সফর করতেন রবীন্দ্র। ক্লাব ক্রিকেটও খেলতেন। তাই জার্সি নিউজ়িল্যান্ডের হলেও, তিনি কিন্তু আদপে বেঙ্গালুরুরই 'ঘরের ছেলে'। তাই চিন্নাস্বামীতে (IND vs NZ 1st Test) এই সেঞ্চুরিটি রবীন্দ্রর জন্য যে বিশেষ অনুভূতির হবে, তা বলাই বাহুল্য। 


রাচিনের ব্যাটিংয়ে ভারতীয় ছার কিন্তু স্পষ্ট। নিউজ়িল্যান্ডে বড় হয়ে ওঠায় ফাস্ট বোলিংটা ভালই খেলেন তিনি। তবে স্পিনের বিরুদ্ধেও সচল তিনি। স্টেপ আউট, ক্রিজের ব্য়বহার সবই করতে দেখা যায়। তিনি যখন ব্যাট করতে নামেন, তখন কিউয়িরা বেশ ভাল জায়গায়। মঞ্চ তৈরিই ছিল। তবে তৃতীয় দিনের সকালে যখন ভারতীয় দল একের পর এক চার উইকেট তুলে নিয়েছিল। ঠিক তখনই নিজের দুরন্ত ডিফেন্স এবং আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে নজর কাড়েন রাচিন। 


 






দেখতে দেখতেই প্রথমে অর্ধশতরানের গণ্ডি পার করেন তিনি, তারপর হাঁকান সেঞ্চুরি। টিম সাউদিকে সঙ্গে নিয়ে তাঁর সেঞ্চুরি পার্টনারশিপে ভারতের ম্যাচে ফেরার যেটুকুও আশা ছিল, সেটাও কার্যত শেষ হয়ে গেল। গোটা ইনিংসেই তাঁর কব্জির মোচড় নজর কেড়েছে। তিনি সেঞ্চুরিটাও হাঁকালেন সুন্দর এক স্যুইপ শটে। তৃতীয় দিনের লাঞ্চে তিনি ১০৪ রানে অপরাজিত থেকে সাজঘরে ফিরলেন। দলের রান তো আছেই, তবে এবার নিজের স্কোর কতটা এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেন রাচিন, সেইদিকেও এক নজর থাকবে।


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।


আরও পড়ুন: ক্রমশই ফিকে হচ্ছে কামব্যাকের আশা, রবীন্দ্র,সাউদির পার্টনারিপে ম্যাচের রাশ সম্পূর্ণভাবে কিউয়িদের হাতে