কল্যাণী: ইডেনে যেখানে প্রায় ৪০ হাজার দর্শক মাঠে বসে 'বুম বুম বুমরা' রব তুলছেন। সেখানে সেইদিনেই বাংলার আরেক মাঠে দর্শকশূন্য ম্যাচে ঘাম ঝরাচ্ছেন বুমরার একদা বোলিং সতীর্থ। তিনি মহম্মদ শামি (Mohammed Shami)। বাংলা তথা ভারতের তারকা ফাস্ট বোলার। নিজের বোলিং পারফরম্যান্স হোক বা কথাবার্তা, শামি বরাবরই লাইমলাইটে থাকেন। তবে রবিবাসরীয় সকালে কল্যাণীতে শামি নয়, কথা বলল তাঁর বল।
এদিন অসমের বিরুদ্ধে চলতি মরশুমে নিজেদের পঞ্চম রঞ্জি ট্রফির (Ranji Trophy 2025-26) ম্যাচে খেলতে নেমেছিল বাংলা দল। এই ম্যাচে অবশ্যই আকর্ষণের কেন্দ্রে ছিলেন শামি। জাতীয় দলে ব্রাত্য ক্রিকেটারের কামব্যাকের একমাত্র পথ পারফরম্যান্স। সেই লক্ষ্যেই তিনি এদিন ফের একবার বাংলার হয়ে মাঠে নেমেছিলেন। গ্রুপ 'সি'-এ শীর্ষে থাকা বাংলার বিরুদ্ধে একেবারে তলানিতে থাকা অসমের এই ম্যাচে যে বাংলা খাতায় খলমে খানিকটা এগিয়েই ছিল, তা বলাই বাহুল্য। ম্যাচে তেমনটা দেখাও গেল।
এদিন টস জিতে প্রথমে অসমকে ব্যাট করার আহ্বান জানান বাংলার অধিনায়ক অভিমন্যু ঈশ্বরণ। সুরজ সিন্ধু জয়সওয়াল শুরুতেই ঋষভ দাসকে মাত্র দুই রানে ফেরানোয় অসমের শুরুটা ভাল হয়নি। তবে তিনে ব্যাট করতে নামা স্বরূপম পুরকায়স্থ গোটা অসম ইনিংসটাকে কার্যত ধরে রাখলেন। প্রথমে তিনি ওপেনার প্রদ্যুন সাইকিয়ার (৩৮) সঙ্গে মিলে ৫৩ রানের পার্টনারশিপ গড়েন। পরে অধিনায়ক গাঁধীগাওয়াকরের সঙ্গে ৬৮ রানের পার্টনারশিপেও তিনি অংশীদার ছিলেন। একমাত্র অসম ব্যাটার হিসাবে এই ইনিংসে অর্ধশতরান হাঁকান স্বরূপম। তবে মহম্মদ শামির বলেই তাঁকে ফিরতে হয়।
এরপর অসমের লোয়ার অর্ডার কেউই তেমন রান পাননি। তবে অধিনায়ক সুমিতের লড়াকু ৪৮ রানের ইনিংসই অসমকে দু'শোর দোরগোড়ায় পৌঁছে দিল। প্রথম দিনের খেলাশেষে অসমের স্কোর আট উইকেটের বিনিময়ে ১৯৪ রান। দুরন্ত ছন্দে গত ম্য়াচে বোনাস পয়েন্টসহ ম্যাচ জেতা বাংলা কিন্তু এই ম্যাচ থেকেই তেমনই পয়েন্ট সংগ্রহের আশায়। তার শুরুটা যে ভাল হল, তা বলাই বাহুল্য।
শামি এদিন দুই উইকেট নেন, তাঁর ভাই মহম্মদ কাইফের দখলেও দুই সাফল্য আসে। তবে তিন উইকেট নিয়ে এদিনের সেরা বোলার সুরজ। শামি কিন্তু ইতিমধ্যেই রঞ্জিতে তৃতীয় ম্যাচ খেলে ১৭ উইকেট নিয়ে ফেলেছেন। বেশ ভাল ছন্দে দেখাচ্ছে তাঁকে। এহরেন ধারাবাহিক পারফর্ম করলে শামিকে কিন্তু জাতীয় দলের থেকে বেশিদিন দূরে রাখাটা কঠিন হতে চলেছে।