কলকাতা: একজন টানা চারটি প্রথম শ্রেণির ম্যাচে সেঞ্চুরি করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। অন্যজন বল হাতে দলীপ ট্রফিতে নজর কাড়ার পর রঞ্জি ট্রফির (Ranji Trophy) প্রথম ম্যাচেও দুই ইনিংস মিলিয়ে নিয়েছেন ৬ উইকেট।
অভিমন্যু ঈশ্বরণ (Abhimanyu Easwaran) ও মুকেশ কুমার (Mukesh Kumar)। রঞ্জি ট্রফির প্রথম ম্যাচে উত্তর প্রদেশের বিরুদ্ধে ব্যাটে-বলে জ্বলে উঠলেন। অ্যাওয়ে ম্যাচ থেকেও বাংলা তিন পয়েন্ট নিয়ে ঘরে ফিরছে। অথচ ধারাবাহিক পারফরম্যান্সের পরেও ভারতীয় দলে ডাক পাচ্ছেন না অভিমন্যু, মুকেশরা। যা নিয়ে ক্ষুব্ধ জাতীয় দলের প্রাক্তন ক্রিকেটার তথা বাংলার কোচ লক্ষ্মীরতন শুক্ল।
সোমবারই লখনউয়ের একানায় অটলবিহারি বাজপেয়ী আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে উত্তর প্রদেশের বিরুদ্ধে রঞ্জি ট্রফির ম্যাচের শেষ দিন ৩ পয়েন্ট অর্জন করেছে বাংলা দল। বাংলার হয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে সেঞ্চুরি করেছেন অভিমন্যু। প্রথম ইনিংসে উত্তর প্রদেশকে অল আউট করার নেপথ্যে অন্যতম ভূমিকা ছিল ডানহাতি জোরে বোলার মুকেশ কুমারের।
সোমবার লখনউ থেকে কলকাতায় ফেরার পথে মোবাইল ফোনে এবিপি আনন্দকে বাংলার কোচ লক্ষ্মীরতন বললেন, 'অভিমন্যু দারুণ ছন্দে। পরপর চারটি প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে সেঞ্চুরি করল। দলীপ ট্রফি, ইরানি কাপে দারুণ খেলে এসেছে। আমি অবশ্য রঞ্জি ট্রফিতে ওর পারফরম্যান্স নিয়েই বেশি খুশি। বাংলার হয়ে আগেও ভাল খেলেছে। ও একটা পদ্ধতির মধ্যে রয়েছে। যে কারণে এত ধারাবাহিকভাবে রান করছে। এরপরেও কেন ভারতীয় দলে ও ডাক পাচ্ছে না, আমি ভেবে পাচ্ছি না। অবিলম্বে জাতীয় দলে ডাকা উচিত। জাতীয় নির্বাচকদের উচিত ওকে নিয়ে যত্নশীল হওয়া।'
ভারতীয় দলের দরজায় কড়া নাড়ছেন অভিমন্যু। অনেকে বলছেন, অস্ট্রেলিয়া সফরে টেস্ট সিরিজের জন্য জাতীয় দলে ডাক পেতে পারেন বাংলার হয়ে ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলা ওপেনার। বিশেষ করে অস্ট্রেলিয়ায় প্রথম টেস্টে রোহিত শর্মা নাও খেলতে পারেন বলে যে খবর ভারতীয় ক্রিকেটের ইতিউতি শোনা যাচ্ছে, তারপর অনেকেই দাবি করছেন অভিমন্যুই হতে পারেন যোগ্য বিকল্প।
অন্যদিকে ৩টি টেস্ট সহ জাতীয় দলের হয়ে তিন ফর্ম্যাটে ২৬টি ম্যাচ খেলেছেন মুকেশ কুমার। তবে গত জুলাই মাসে হারারেতে জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে টি-২০ সিরিজে খেলার পর আর ডাক পাননি।
লক্ষ্মীরতন বলছেন, 'মুকেশও ধারাবাহিকভাবে ভাল বল করে চলেছে। কেন পারফর্ম করেও দিনের পর দিন জাতীয় দলে ব্রাত্য থাকছে, জানি না। জাতীয় নির্বাচকদের চোখ খোলার সময় হয়েছে। আকাশ দীপের মতো মুকেশেরও জাতীয় দলে নিয়মিত খেলা উচিত। বাংলার ক্রিকেটারদের চেয়ে পারফরম্যান্সে পিছিয়ে থেকেও অনেকে সুযোগ পেয়ে যাচ্ছে। যেটা একেবারেই কাম্য নয়।'
আরও পড়ুন: বাগে পেয়ে হারানো গেল না উত্তর প্রদেশকে, ৩ পয়েন্টেও আম্পায়ারিং নিয়ে ক্ষোভ বাংলা শিবিরে
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।