কলকাতা: তিনি থাকা আর না থাকার মধ্যে কতটা পার্থক্য? বাংলার টিম ম্যানেজমেন্টের যে কাউকে জিজ্ঞেস করুন। একবাক্যে সকলে মেনে নেবেন, আসমান-জমিন।
সেই ফারাকটাই গড়ে দিলেন শাহবাজ আমেদ (Shahbaz Ahmed)। প্রথমে ব্যাট হাতে চাপের মুখে ৮৬ রানের ঝকঝকে ইনিংস। পরে বল হাতে ৮ উইকেট। যার মধ্যে রেলওয়েজ়ের দ্বিতীয় ইনিংসে ৫৬ রানে ৭ উইকেট। কার্যত একার হাতে রেলকে বেলাইন করলেন বাঁহাতি স্পিনার শাহবাজ। যে ম্যাচের ফলাফল হবে কি না, তা নিয়েই এক সময় ছিল ধন্দ, সেই ম্যাচ থেকে বোনাস সহ সাত পয়েন্ট পেল বাংলা। রেলকে ইনিংস ও ১২০ রানের বিরাট ব্যবধানে হারিয়ে দিল বাংলা। ৪ ম্যাচে ২০ পয়েন্ট নিয়ে এলিট গ্রুপ সি-তে শীর্ষে উঠে এল বাংলা। কোয়ার্টার ফাইনালের রাস্তা কার্যত মসৃণ। প্রত্যেক গ্রুপ থেকে ২টি করে দল সরাসরি উঠবে শেষ আটে। খুব বড়সড় অঘটন না ঘটলে বাংলার নক আউটে যাওয়া নিশ্চিত।
প্রথম ইনিংসে বাংলা তুলেছিল ৪৭৪ রান। জবাবে ২২২ রানে প্রথম ইনিংস শেষ হয়ে যায় রেলওয়েজ়ের। ফলো অন করে দ্বিতীয় ইনিংসে ১৩২ রানে গুটিয়ে গেল রেল। কার্যত কোনও প্রতিরোধই গড়ে তুলতে পারলেন না রেলের ব্যাটাররা। বাংলার স্পিনারদের সামনে আত্মসমর্পণ করলেন। শাহবাজের পাশাপাশি দ্বিতীয় ইনিংসে দুই উইকেট নিলেন অফস্পিনার রাহুল প্রসাদ। মহম্মদ কাইফ নিলেন এক উইকেট।
বাংলার কোচ লক্ষ্মীরতন শুক্ল বোনাস পয়েন্ট সহ দলের জয়ে খুশি। সুরাত থেকে মোবাইল ফোনে বললেন, 'দারুণ চারিত্রিক দৃঢ়তা দেখিয়েছে ছেলেরা। এই জয়ের নেপথ্যে সকলের অবদান রয়েছে।' শাহবাজের পারফরম্যান্স নিয়ে উচ্ছ্বসিত কোচ। বলছিলেন, 'শাহবাজ ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ প্লেয়ার। ও দলে ফেরার পর থেকে চেহারাটাই পাল্টে গিয়েছে। চাপের মুখে প্রথম ইনিংসে ভাল ব্যাট করেছে। বল হাতেও দারুণ পারফর্ম করল।' লক্ষ্মী আরও বললেন, 'প্রথম ইনিংসে শুরুর দিকে বল নড়াচড়া করছিল। সেই সময় সূরয সিন্ধু জয়সওয়ালকে চার নম্বরে পাঠিয়েছিলাম। ও হয়তো রান বেশি করেনি, কিন্তু ৫৬ বল খেলে দেয়। তারপরই উইকেট ব্যাটিংয়ের জন্য সহজ হয়ে গিয়েছিল। ভাগ্যও কিছুটা সঙ্গ দিয়েছে। অনুষ্টুপ নো বলে আউট হয়ে বেঁচে যায়। সেঞ্চুরি করে। সুমন্ত দারুণ ব্যাটিং করেছে। দলগত সাফল্যের জয়।'
বাংলার পরের ম্যাচ কল্যাণীতে। অসমের বিরুদ্ধে। সেই ম্যাচে খেলতে পারেন মহম্মদ শামি। সেই ম্যাচে বিশ্রাম দেওয়া হতে পারে সূরযকে।