আগরতলা: চলতি রঞ্জি ট্রফির (Ranji Trophy) শুরু থেকেই ছন্দে রয়েছেন তিনি। ইডেনে (Eden Gardens) বাংলার আগের ম্যাচে উত্তরাখণ্ডের বিরুদ্ধে দুই ইনিংসে দুই হাফসেঞ্চুরি করেছিলেন। কিন্তু তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগার থেকে দূরেই ছিলেন।

Continues below advertisement

সেই আক্ষেপ অবশেষে সুদে আসলে মিটিয়ে নিলেন সুদীপ কুমার ঘরামি (Sudip Kumar Gharami)। আগরতলায় ত্রিপুরার বিরুদ্ধে সেঞ্চুরি করলেন সুদীপ। ২০৮ রান করে ফেরেন সুদীপ। সীমিত ওভারের ক্রিকেটে যিনি বাংলাকে নেতৃত্বও দিয়েছেন। তবে ধারাবাহিকতার অভাব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। যদিও এবার অনেক বেশি দৃঢ়সংকল্প দেখাচ্ছে সুদীপকে।

যার প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে বাইশ গজে। চলতি রঞ্জি ট্রফিতে এখনও পর্যন্ত পাঁচটি ইনিংস খেলেছেন সুদীপ। সেই পাঁচ ইনিংসে ডানহাতি ব্যাটারের রান যথাক্রমে ১৫, ৪৬, ৫৬, ৫৪ ও ১০৮। রবিবার তিনি ত্রিপুরার বিরুদ্ধে সেঞ্চুরি করলেন। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে নিজের ষষ্ঠ সেঞ্চুরি। তাঁকে দুর্দান্তভাবে সঙ্গত করলেন শাকির হাবিব গাঁধী। কেরিয়ারের দ্বিতীয় প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলতে নেমেছিলেন শাকির। মাত্র ৫ রানের জন্য রঞ্জি ট্রফিতে প্রথম সেঞ্চুরি পেলেন না। ৯৫ রান করে ফেরেন শাকির।

Continues below advertisement

সবচেয়ে বড় কথা, দ্বিতীয় উইকেটে ২০৯ রানের দুরন্ত পার্টনারশিপ গড়ে তোলেন সুদীপ ও শাকির। দুজনকেই পরীক্ষা দিতে হচ্ছে এই ম্যাচে। সুদীপ এখন নিয়মিতভাবে বাংলার হয়ে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে তিন নম্বরে ব্যাট করেন। কিন্তু এই ম্যাচে তাঁকে দিয়েই ইনিংস ওপেন করিয়েছেন কোচ লক্ষ্মীরতন শুক্ল। দুই ওপেনার - অভিমন্যু ঈশ্বরণ ও সুদীপ চট্টোপাধ্যায়কে একসঙ্গে পাওয়া যাবে না, এমন পরিস্থিতি তৈরি হতেই। অভিমন্যু ভারত এ দলে ডাক পেয়েছেন। দক্ষিণ আফ্রিকা এ দলের বিরুদ্ধে খেলবেন তিনি। সেই কারণে এই ম্যাচে নেই। অপর ওপেনার সুদীপ চট্টোপাধ্যায় আগের ম্যাচে ফিল্ডিং করার সময় হাঁটুতে গুরুতর চোট পেয়েছিলেন। অন্তত তিন সপ্তাহ মাঠের বাইরে থাকতে হবে তাঁকে। দুজনের অনুপস্থিতিতে সুদীপ ঘরামিই ইনিংস ওপেন করেন। এবং তাতে লেটার মার্কস পেলেন। সেঞ্চুরি করে।

যদিও, দুই ব্যাটারের দাপট সত্ত্বেও লোয়ার মিডল অর্ডারের ব্যর্থতায় দ্বিতীয় দিনের শেষে বাংলার স্কোর ৩৩৬/৯। বৃষ্টি, মন্দ আলো, ভিজে মাঠের জন্য রবিবারও নির্ধারিত সময়ের পুরোটা খেলা হয়নি। ম্যাচ শুরু হয় দেরিতে। সব মিলিয়ে দুদিনে মোটে ১১৫ ওভার খেলা হয়েছে। শাহবাজ আমেদ ৪০ রান করে ক্রিজে। এই ম্যাচেই অভিষেক ঘটানো অফস্পিনার রাহুল প্রসাদ ৩৫ রান করে আউট হন। বাংলার ব্যাটাররা ওভার প্রতি ২.৯২ রান করে তুলেছেন। মন্থর ব্যাটিং নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন কেউ কেউ। ম্যাচের বাকি আর দুদিন। ফয়সালা হওয়া কঠিন। সেক্ষেত্রে প্রথম ইনিংসে নিড নিতে পারলে এই ম্যাচ থেকে তিন পয়েন্টের বেশি নাও পেতে পারে বাংলা।