নাগপুর: গতবারের রঞ্জি জয়ীরা (Ranji Trophy) ছিটকে গেল সেমিফাইনাল থেকেই। শার্দুল ঠাকুরের লড়াকু হাফসেঞ্চুরিও বাঁচাতে পারল না মুম্বইকে। নাগপুরে বিদর্ভের কাছে ৮০ রানে হেরে গেলেন অজিঙ্ক রাহানেরা। সেই সঙ্গে গতবারের ফাইনালে হারের মধুর প্রতিশোধ নিল বিদর্ভ।
যদিও ম্যাচে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হল। নাগপুরে ম্যাচে ফয়সালা হল পঞ্চম দিন একেবারে শেষ লগ্নে। হর্ষ দুবে পাঁচ উইকেট নিলেন। চলতি রঞ্জি ট্রফিতে তাঁর সপ্তম ইনিংসে পাঁচ উইকেট নেওয়ার কীর্তি। সব মিলিয়ে ৬৬ উইকেট হয়ে গেল দুবের। আর ২ উইকেট নিলেই রঞ্জি ট্রফিতে এক মরশুমে সবচেয়ে বেশি উইকেট নেওয়ার কীর্তি স্পর্শ করবেন দুবে। যে রেকর্ড রয়েছে বিহারের বাঁহাতি স্পিনার আশুতোষ আমনের ঝুলিতে।
শুক্রবার, ম্যাচের পঞ্চম দিন শিবম দুবে ও সূর্যকুমার যাদব দ্রুত ফিরতেই ম্যাচটি কার্যত নিয়মরক্ষার হয়ে গিয়েছিল। ১২৪/৬ হয়ে গিয়েছিল মুম্বইয়ের স্কোর।
আরও পড়ুন: দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়েতে গাড়ি দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিলেন, এখন কেমন আছেন সৌরভ?
সেখান থেকেই হাফসেঞ্চুরি শার্দুল ঠাকুরের। শামস মুলানির সঙ্গে সেঞ্চুরি পার্টনারশিপ গড়েন তিনি। এরপরই মুলানি রান আউট হন। ভেঙে যায় মুম্বইয়ের প্রতিরোধ। মোহিত অবস্থি ও রয়স্টন ডায়াসের শেষ উইকেটে ঝোড়ো পার্টনারশিপে ৫২ রান উঠলেও, বিদর্ভের ফাইনালে ওঠা তখন নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। ৩২৫ রানে অল আউট হয়ে যায় মুম্বই। ৮০ রানে ম্যাচ হারে।
অন্য দিকে, প্রথমবার রঞ্জি ফাইনালে উঠল কেরল। আমদাবাদে নাটকীয় ম্যাচে প্রথম ইনিংসে লিড নেওয়ার সুবাদে তারা হারাল গুজরাতকে। শুক্রবার, ম্যাচের শেষ দিন কেরলের হাতে ছিল মাত্র ২৮ রানের পুঁজি। লক্ষ্য ছিল প্রতিপক্ষের বাকি ৩ উইকেট তুলে নেওয়া। আদিত্য সারওয়াতে বাকি তিন উইকেটই নেন। মাত্র ২ রানের লিড নিয়ে ফাইনালে পৌঁছে যায় কেরল। এর আগে কোয়ার্টার ফাইনালে মাত্র ১ রানের লিড নিয়ে শেষ চারে পৌঁছেছিল কেরল। নাগপুরে ২৬ ফেব্রুয়ারি থেকে ফাইনালে কেরলের সামনে বিদর্ভ।
শেষ দিন ম্যাচের পরতে পরতে ছিল নাটক। জয়মিত পটেলের ক্যাচ ফেলেন কেরলের সচিন বেবি। তারপর সারওয়াতের বলে তিনি স্টাম্পড হন। যদিও প্রায় ৩ মিনিট ধরে রিপ্লে দেখার পর সিদ্ধান্ত দেন তৃতীয় আম্পায়ার। জানা যায়, বেল ভাঙার সময় জয়মিতের পা লাইনের ওপরে ছিল।
তবে আরও বড় নাটক ছিল গুজরাতের শেষ উইকেট নিয়ে। সারওয়াতের বলে সজোরে স্যুইপ মারেন আরজান নাগওয়াসওয়াল্লা। বল শর্ট লেগে দাঁড়ানো নিজারের হেলমেটে ধাক্কা খেয়ে স্লিপে বেবির দিকে যায়। ক্যাচ নিতে ভুল করেননি বেবি। যদিও তাঁর কনকাশন টেস্ট হয়।
আর ২ রান করে কেরলের প্রথম ইনিংসের স্কোরের সমান রান করলেও ফাইালে যেত গুজরাতয যেহেতু গ্রুপ পর্বে তারা বেশি পয়েন্ট পেয়েছিল।
আরও পড়ুন: ইস্পাত কারখানা কবে তৈরি হচ্ছে? বড় আপডেট দিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়