নয়াদিল্লি: আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রাখার পর থেকেই নিজের জাত চিনিয়ে আসছেন। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয় ম্য়াচেও ব্যাট হাতে দাপট দেখিয়েছেন রিঙ্কু সিংহ (Rinku Singh)। নিজের টি-টোয়েন্টি কেরিয়ারের তৃতীয় অর্ধশতরান হাঁকিয়েছেন বাঁহাতি এই মিডল অর্ডার ব্যাটার। মূলত তাঁর ও নীতিশ রেড্ডির ঝোড়ো অর্ধশতরানের ওপর ভর করেই বোর্ডে ২২২ রান তুলে ফেলেছিল ভারতীয় দল। যা তাড়া করতে নেমে ১৩৫/৯ এ থামতে হয় বাংলাদেশকে। টাইগারদের ৮৬ রানে হারিয়ে সিরিজে ২-০ তে এগিয়ে গিয়েছে ভারত। আগামী
ম্য়াচে ২৯ বলে ৫৩ রানের ইনিংস খেলেন রিঙ্কু। নীতিশ ৩৪ বলে ৭৪ রানের ইনিংস খেলেন। রিঙ্কু নিজের ইনিংসে পাঁচটি বাউন্ডারি ও ৩টি ছক্কা হাঁকান। ম্য়াচের শেষে বাঁহাতি নাইট তারকা বলেন, ''আমি লাল বলে খেলতে খুবই ভালবাসি। আমি এই ম্যাচে সেভাবেই খেলেছি যেভাবে ঘরোয়া ক্রিকেটেও আমি খেতাম। পাঁচ-ছয় নম্বরে নেমে এভাবেই খেলে থাকি। আমি সবসময়ই দলের জন্য রান করে যাওয়াটাকেই প্রাধান্য দিয়ে এসেছি। আর কঠিন পরিস্থিতিতে ব্যাটিং করা আরও বেশি করে পছন্দ করি।''
নীতিশ রেড্ডির সঙ্গে পার্টনারশিপে ৪৯ বলে ১০৮ রান বোর্ডে যোগ করেছিলেন রিঙ্কু। নীতিশের প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে রিঙ্কু বলেন, ''নো বল হওয়ার পর ও একটা ফ্রি-হিট পেয়েছিল। যেই বলে ছক্কা হাঁকিয়েছিল। যা থেকে ওঁর মধ্যে আত্মবিশ্বাস তুঙ্গে পৌঁছায়। দারুণ বুদ্ধিমত্তা দিয়ে ব্য়াটিং করেছে নীতিশ। আমরা খুব উপভোগ করছিলাম ওর খেলা। আমি ওকেও বলেছিলাম যে 'ইটস গডস প্ল্যান'।
একটা সময় ভারতীয় দলে ফিনিশার বলতে সবার আগে মহেন্দ্র সিংহ ধোনির কথা মাথায় আসত। এখনও বিশ্বের অন্যতম সেরা ফিনিশারদের মধ্যে তিনি উজ্জ্বল। প্রাক্তন ভারত অধিনায়কের থেকে পরামর্শ পেয়েছিলেন রিঙ্কু। যা তাঁকে সাহায্য করেছে। আইপিএল চ্যাম্পিয়ন কেকেআর দলের সদস্য বলেন, ''আমি মাহি ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলেছিলাম। ওর থেকে অনেক অনেক পরামর্শ পেয়েছি। উনি আমাকে বারবার বলতেন কীভাবে দলের উইকেট দ্রুত পড়ে গেলে নিজেকে ক্রিজে গিয়ে সেট করতে হয়। কেমন শট খেলতে হয়। আমি এর আগেও অনেকবার এমন ধরণের ইনিংস খেলেছি। এবার জাতীয় দলের হয়ে খেলতে চাই। নিজের আইপিএল দলের হয়ে খেলতে চাই। আমি জানি দল বিপদে পড়লে কীভাবে খেলতে হয়।''