মুম্বই: ধারাবাহিক ভাল পারফরম্যান্স। আইপিএলেও অধিনায়কের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। ব্যাট হাতেও রান পেয়েছেন প্রতি ম্য়াচেই। অরেঞ্জ ক্যাপের দৌড়েও থাকেন তিনি। অথচ রুতুরাজ গায়কোয়াডকে জিম্বাবোয়ে সফরের পর আচমকাই ভারতীয় দল থেকে বাদ দেওয়া হল। পারফরম্য়ান্সই যদি শেষ কথা হল, তবে কেন রুতুরাজ বাদ? এই প্রশ্নই সোশ্য়াল মিডিয়ায় বারবার ছড়িয়েছে। এমনকী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মঞ্চে রুতুরাজকে রিজার্ভ প্লেয়ার হিসেবেও রাখার চিন্তাভাবনা করেননি নির্বাচকরা। এই সব দেখেই এবার সিএসকে অধিনায়কের হয়ে ব্যাট ধরলেন এস বদ্রীনাথ। 


শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজে অধিনায়ক হিসেবে যাচ্ছেন সূর্যকুমার যাদব। এমনকী নতুন মুখদের মধ্যে রিয়ান পরাগ, হর্ষিত রানারা আছেন। কিন্তু সেই তালিকায় নেই রুতুরাজ গায়কোয়াড ও অভিষেক শর্মা। অথচ দুজনেই জিম্বাবোয়ে সফরে দুর্দান্ত পারফর্ম করেছিলেন। বিশেষ করে রুতুরাজ অনেকদিন ধরেই জাতীয় দলে পারফর্ম করছেন। তবুও কেন শ্রীলঙ্কা সফরে তিনি ব্রাত্য হয়ে গেলেন, তার উত্তর অনেকেই খুঁজে পাচ্ছেন না। ঠিক একইভাবে ওয়ান ডে ফর্ম্য়াট থেকে রিঙ্কু সিংহের বাদ পড়া নিয়েও মুখ খোলেন বদ্রীনাথ। প্রাক্তন ভাতীয় ক্রিকেটার বলেন, ''কখনও কখনও মনে হয়, যে ক্রিকেটারদের খারাপ ভাবমূর্তি নেই তারা ভারতীয় দলে সুযোগ পাবে না। রিঙ্কু, রুতুরাজদের দলে নেওয়া হয় না। আমার মনে হয়, কোনও বলিউড অভিনেত্রীর সঙ্গে ওদের সম্পর্ক নেই, বা ভাল কোনও ম্যানেজার নেই, অথবা শরীরে ট্যাটু নেই বলে ভারতীয় দলে ওরা জায়গা পায় না।''


অজিত আগরকরের নেতৃত্বাধীন নির্বাচক কমিটিকে একহাত নিয়ে প্রাক্তন সিএসকে তারকা আরও বলেন, ''নির্বাচকদের দেখা উচিত, কোন ক্রিকেটার দলের কাজে লাগবে। মহেন্দ্র সিংহ ধোনির পরে রুতুরাজকে চেন্নাই সুপার কিংসের অধিনায়ক করা হয়েছে। ওর মধ্যে সেই প্রতিভা আছে বলেই করা হয়েছে। অথচ ও জাতীয় দলে সুযোগ পাচ্ছে না। এতে ওর মনোবল নষ্ট হচ্ছে। রিঙ্কুর ক্ষেত্রেও বিষয়টা একই। এ ভাবে প্রতিভা নষ্ট করা উচিত নয়। এখন ভারতে অনেক তরুণ ক্রিকেটার। সবাইকে সুযোগ দেওয়া উচিত।''


জিম্বাবোয়ে সিরিজে প্রথম টি-টােয়েন্টিতে রান না পেলেও পরের দুটো ম্য়াচে যথাক্রমে ৭৭ ও ৪৯ রান করেন রুতুরাজ। অন্য়দিকে রিঙ্কুও দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ২২ বলে ৪৮ রানের ইনিংস খেলেন। কিন্তু তিনিও ওয়ান ডে স্কোয়াডে সুযোগ পাননি গত দেড় বছরে ধারাবাহিক পারফরম্য়ন্সের পরও।