নয়াদিল্লি: দুই দশক ধরে ক্রিকেটবিশ্বকে ব্যাট হাতে শাসন করেছেন। ক্রিকেট থেকে অবসরের পর না না সামাজিক কাজে নিজেকে লিপ্ত রেখেছেন সচিন তেন্ডুলকর (Sachin Tendulkar)। পেয়েছেন ভারতরত্নও। এবার তাঁকে জাতীয় আইকনের স্বীকৃতি দিল জাতীয় নির্বাচন কমিশন (Election Commission of India)।
সচিনকে বিশেষ স্বীকৃতি
বুধবার, ২৩ অগাস্ট রাজধানী নয়াদিল্লির রং ভবন অডিটোরিয়ামে এক বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। সেই অনুষ্ঠানেই তাঁকে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের তরফে জাতীয় আইকনের স্বীকৃতি দেওয়া হবে। সেখানেই তিনি নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে একটি মৌ স্বাক্ষর করবেন। তিন বছরের জন্য তিনি চুক্তিবদ্ধ হচ্ছেন। নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সম্মিলিতভাবে দেশের নাগরিকদের ভোট দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সচেতন করতে দেখা যাবে সচিনকে। এই অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনের প্রধান শ্রী রাজীব কুমার, নির্বাচন কমিশনার শ্রী অনুপ চন্দ্র পাণ্ডে এবং শ্রী অরুণ গোয়েল এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন।
২০২৪ সালেই লোকসভা ভোট। ভারতীয় তরুণ প্রজন্মের মধ্যে সচিনের জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়ে ভোট সচেতনা বৃদ্ধি করতে বদ্ধপরিকর জাতীয় নির্বাচন কমিশন। জাতীয় নির্বাচন কমিশন নিজেদের ওয়েবসাইটে সচিনকে জাতীয় আইকনের স্বীকৃতি দেওয়ার কথা ঘোষণা করে জানানো হয়, 'ক্রিকেট কিংবদন্তি তথা ভারতরত্ন শ্রী সচিন রমেশ তেন্ডুলকর এবার একটি নতুন ইনিংস শুরু করতে চলেছেন। জাতীয় আইকন হিসাবে ওঁ নির্বাচন কমিশনের তরফে ভোটারদের সচেতন ও শিক্ষিত করবেন।'
সচিন প্রথম নন এর আগেও নির্বাচন কমিশনের তরফে ভোটারদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে একাধিক নামী দামি তারকাকে জাতীয় আইকনের স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। গত বছর অভিনেতা পঙ্কজ ত্রিপাঠীকে এই সম্মান জানানো হয়েছিল। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের আগে বিশ্বজয়ী ভারতীয় অধিনায়ক মহেন্দ্র সিংহ ধোনি, ছয় বারের বক্সি বিশ্বচ্যাম্পিয়ন মেরি কম ও অভিনেতা আমির খানকে জাতীয় আইকনের স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছিল।
ইডেনে লিয়েন্ডার
আইসিসি বিশ্বকাপের (ODI World Cup) ট্রফি। যে ট্রফিকে ঘিরে সেপ্টেম্বর মাসের গোড়ায় দুদিন উৎসবের আবহ তৈরি হবে কলকাতায়। একদিকে যেমন হাজির থাকবেন বাংলার বরেণ্য ফুটবলাররা, বা অন্যান্য খেলার কৃতীরা। তেমনই আমন্ত্রিত থাকবেন ভারতীয় টেনিসের কিংবদন্তি। লিয়েন্ডার পেজ।
৮ সেপ্টেম্বর কলকাতায় এসে পৌঁছবে ওয়ান ডে বিশ্বকাপের ট্রফি। পরের দুদিন বাংলার ক্রিকেটপ্রেমীদের জন্য বিশ্বকাপ ট্রফিটি দেখার সুবর্ণ সুযোগ। আর সেই উৎসবের আবহকেই আরও রঙিন সুতোয় বাঁধতে চাইছে সিএবি (CAB)। যার প্রথম পদক্ষেপই হল, বিভিন্ন খেলাধুলোয় বাংলার কৃতীদের আমন্ত্রণ জানানো। যাতে বিশ্বকাপ নিয়ে সাধারণ মানুষের আগ্রহ-উদ্দীপনা কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেওয়া যায়।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন
https://t.me/abpanandaofficial
আরও পড়ুন: 'স্বপ্নেও ভাবিনি', এশিয়া কাপে সুযোগ পেয়ে নিজেই বিস্মিত তিলক