লখনউ: চেন্নাই সুপার কিংসের জার্সিতে আইপিএলে খেলেছিলেন। আসন্ন আইপএলের আগে নিলামে দিল্লি ক্যাপিটালস এবার তাঁদের দলে নিয়েছে। উত্তরপ্রদেশের অনূর্ধ্ব ২৩ ঘরোয়া টুর্নামেন্টে এবার ঝোড়ো অপরাজিত দ্বিশতরানের ইনিংস খেললেন সমীর রিজভি। উত্তরপ্রদেশের জার্সিতে এই টুর্নামেন্টে অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন। সেই ম্যাচেই ৯৭ বলে অপরাজিত ঝোড়ো ২০১ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন তিনি। নিজের ইনিংসে ২০টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন সমীর। ১৩টি বাউন্ডারি হাঁকিয়েছেন তিনি। সমীরের ইনিংসের সৌজন্যে উত্তরপ্রদেশ প্রথমে ব্যাট করতে নেমে বিরাট স্কোর বোর্ডে তুলে নেয়। তারা বোর্ডে ৪০৫ রান তুলে নিয়েছিল।
পুরুষদের অনূর্ধ্ব ২৩ রাজ্য দলের টুর্নামেন্টের ইতিহাসে দ্রুততম দ্বিশতরান হাঁকানোর নজির গড়লেন সমীর রিজভি। যদিও এটি লিস্ট এ রেকর্ডের তালিকায় পড়বে না। লিস্ট এ ক্রিকেটে দ্রুততম দ্বিশতরানের রেকর্ড রয়েছে নিউজিল্য়ান্ডের চাদ বোওসের ঝুলিতে। ১০৩ বলে দ্বিশতরান পূরণ করেছিলেন তিনি।
এদিনের ম্য়াচে ২১ বছরের এই ব্যাটার ২৩ তম ওভারে ব্যাট করতে নেমেছিলেন। এরপর থেকেই মারকাটারি ব্য়াটিংয়ের শুরু। ২০২৪ আইপিএলে চেন্নাই সুপার কিংসের জার্সিতে খেলেছিলেন সমীর। প্রচুর অঙ্ক দিয়ে তাঁকে নিলেও আট ইনিংসে মাত্র ৫১ রান করেছিলেন। সিএসকে এবার রিটেন করেনি রিজভিকে। তাঁকে নিলাম থেকেও নেয়নি। অন্যদিকে দিল্লি ক্যাপিটালস এবার মাত্র ৯৫ লক্ষ টাকা মূল্যে দলে নিয়েছে নিলাম থেকে।
বিজয় হাজারে ট্রফিতে দুরন্ত অপরাজিত শতরান অভিষেক পোড়েলের। বিজয় হাজারে ট্রফিতে দিল্লির বিরুদ্ধে জয় ছিনিয়ে নিল বাংলা। অভিষেক পোড়েল অপরাজিত শতরানের ইনিংস খেললেন। বাংলার হয়ে ওপেনে নেমেছিলেন উইকেট কিপার ব্যাটার অভিষেক পোড়েল ও করণ লাল। অভিষেক ১৩০ বলে ১৭০ রানের ইনিংস খেলেন। ১৮টি বাউন্ডারি ও ৭টি ছক্কার সাহায্যে। এদিন টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বাংলার অধিনায়ক সুদীপ কুমার ঘরামি। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে দিল্লির হয়ে ওপেনিংয়ে নেমেছিলেন প্রিয়াংশ আর্য ও বৈভব কান্ডপল। প্রথমজন মাত্র ৪ রানে ফিরলেও, দ্বিতীয় জন ৪৭ রানের ইনিংস খেলেন তিনটি বাউন্ডারি ও ১টি ছক্কার সাহায্যে। যশ ধূল ৮ রান করে প্যাভিলিয়ন ফেরেন। দিল্লির অধিনায়ক আয়ুশ বাদোনি ৫৬ বলে ৪১ রানের ইনিংস খেলেন পাঁচটি বাউন্ডারির সাহায্যে। হিম্মত সিংহ ৬০ রানের ইনিংস খেলেন ও লোয়ার অর্ডারে বড় রান করেন অনুজ রাওয়াত। ৬৬ বলে ৭৯ রানের ইনিংসে তিনি ৯টি বাউন্ডারি ও ২টো ছক্কা হাঁকান। শেষ পর্যন্ত ৭ উইকেট হারিয়ে ২৭২ রান বোর্ডে তুলে নেয় দিল্লি। বাংলার বোলারদের মধ্যে মুকেশ তাঁর ১০ ওভারের স্পেলে ৬৬ রান খরচ করে ৪ উইকেট নেন। একটি করে উইকেট পান সায়ন ঘোষ ও কৌশিক মাইতি।