রাঁচি: ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে চতুর্থ টেস্ট ম্যাচ (IND vs ENG 4th Test) জয়ের জন্য লক্ষ্য ছিল ১৯২ রান। খুব বড় রান তাড়া করতে না হলেও, রাঁচির পিচে চতুর্থ ইনিংসে এই রান করা একেবারে যে সহজ ছিল তেমনটা নয়। শুরুটা ভাল করেও একসময় ১২০ রানে পাঁচ উইকেট হারিয়ে বেশ চাপে পড়ে গিয়েছিল ভারতীয় দল। তবে পরিপক্কতার সঙ্গে অপরাজিত ৭২ রানের পার্টনারশিপে দলের জয় সুনিশ্চিত করলেন দুই তরুণ ব্যাটার শুভমন গিল (Shubman Gill) ও ধ্রুব জুরেল (Dhruv Jurel)।


দিনের শুরুতে ভারতের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল আরও ১৫২ রানের। হাতে ছিল ১০ উইকেট। শুরুটা খানিকটা দেখে শুনেই করেন দুই ভারতীয় ওপেনার যশস্বী ও রোহিত শর্মা (Rohit Sharma)। ১১তম ওভারে ভারতীয় দল অর্ধশতরানের গণ্ডি পার করে। দুই ওপেনারের দাপটে তড়তড়িয়ে এগোচ্ছিল ভারতের বিজয়রথ। কিন্তু সেই যাত্রাপথে প্রথম বাঁধা দেন জো রুট। ৩৭ রানে ব্যাট করা যশস্বীকে ফেরান তিনি। বড় শট মারতে গিয়ে ব্যাটে বলে সঠিক সংযোগ ঘটাতে পারেননি যশস্বী। শর্ট থার্ড ম্যানে দাঁড়ানো জেমস অ্যান্ডারসন সামনের দিকে ঝাঁপ মেরে দুরন্ত এক ক্যাচ ধরেন। তাঁকে দেখলে কে বলবে যে ইংল্যান্ড তারকার বয়স ৪০ পেরিয়েছে।


আরেক ওপেনার রোহিত ৬৯ বলে নিজের কেরিয়ারের ১৭তম অর্ধশতরান পূরণ করেন বটে। তবে ঠিক তারপরেই ৫৫ রানে টম হার্টলির শিকার হন 'হিটম্যান'। রজত পাতিদারের হতাশাজনক অভিষেক সিরিজ় অব্যাহত থাকে। খাতা খোলার আগেই তিনি শোয়েব বশিরের শিকার হন। তিন উইকেট হারিয়েই ১২০ রানে মধ্যাহ্নভোজের সময় সাজঘরে যায় ভারতীয় দল। ক্রিজে তখন শুভমন গিল ও রবীন্দ্র জাডেজা উপস্থিত ছিলেন।


মধ্যাহ্নভোজের পর খেলা শুরু হতেই জোড়া ধাক্কা। প্রথম ইনিংসে পাঁচ উইকেট নিয়েছিলেন তরুণ বশির। মধ্যাহ্নভোজের পর এই ইনিংসে নিজের দ্বিতীয় এবং তৃতীয় উইকেট হিসাবে জাডেজাকে চার ও সরফরাজকে শূন্য রানে ফেরান তিনি। তখনও জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ৭২ রানের। চাপেই পড়ে গিয়েছিল ভারত। এই সময়ই ইনিংসের হাল ধরেন গিল ও জুরেল। কোনওরকম বাড়তি ঝুঁকি না নিয়ে ঠান্ডা মাথায় ভারতকে লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে নিয়ে যান তাঁরা।


দলের জয় কার্যত নিশ্চিত দেখে অবশেষে একেবারে শেষ লগ্নে হাত খোলেন গিল। দুই ছক্কা হাঁকিয়ে নিজের অর্ধশতরান পূরণ করেন তিনি। শেষমেশ ৫২ রানে অপরাজিত থেকে দলকে ম্যাচ জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন তরুণ টপ অর্ডার ব্যাটার। অপরদিকে, প্রথম ইনিংসে ৯০ রান করা জুরেল ফের একবার দলের চাপের মুখে ৩৯ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে নিজের প্রতিভার পাশাপাশি মানসিক দৃঢ়তারও পরিচয় দেন। ম্যাচ জিতে নেয় ভারত।


এই জয়ের সুবাদেই পাঁচ ম্যাচের সিরিজ় নিজেদের পকেটে পুরল ভারত। সিরিজ়ের প্রথম টেস্ট হারতে হলেও, নাগাড়ে তিন টেস্ট জিতে সিরিজ় জয় নিশ্চিত করল রোহিতবাহিনী।


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে


আরও পড়ুন: ট্রফি কালেক্টার হওয়ার আগে টিকিট কালেক্টার, ভাইরাল ধোনির প্রথম নিয়োগপত্র