নয়াদিল্লি: বর্তমানে বিলেতের মাটিতে বসেছে লেজেন্ডদের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ। সেখানে ভারতীয় দলের অংশ সুরেশ রায়না (Suresh Raina)। সেই টুর্নামেন্টের ফাঁকেই রায়নাকে তাঁর বিশ্ব একাদশ নির্বাচিত করতে বলা হয়েছিল। রায়না কিন্তু সকলকে খানিকটা চমকে দিয়েই সেই একাদশে নিজের প্রিয় বন্ধু মহেন্দ্র সিংহ ধোনি, এমনকী মতান্তরে বিশ্বের সর্বকালের সর্বসেরা ব্যাটার বিরাট কোহলিকে রাখলেন না।
রায়নার দলে চার চারজন ভারতীয় ক্রিকেটার রয়েছেন। তবে সেই একাদশে নেই ধোনি ও কোহলির নাম। রায়না বিশ্বের সর্বকালের সেরা দুই ব্যাটার হিসাবে গণ্য হওয়া ব্রায়ান লারা ও সচিন তেন্ডুলকরকে নিজের দুই ওপেনার হিসাবে বাছাই করেন। তাঁর বাছাই করা দলে এরপর ভিভি রিচার্ডস, গ্যারি সোবার্স এবং যুবরাজ সিংহকে জায়গা করে দেন তিনি। এরপর দলের ভারসাম্য বজায় রাখতে অলরাউন্ডার হিসাবে অ্যান্ড্রু ফ্লিনটফ ও ইয়ান বোথামকে বাছেন তিনি।
রায়নার বাছাই করা বোলারদের সিংহভাগই কালজয়ী স্পিনার। কিংবদন্তি শেন ওয়ার্ন, ভারতীয় স্পিনযুগল অনিল কুম্বল ও হরভজন সিংহ এবং পড়শি দেশ পাকিস্তানের স্পিনার সাকলেন মুস্তাককে রেখে নিজের দল সাজিয়েছেন সুরেশ রায়না। ভারতীয় বিশ্বজয়ী প্রাক্তনীর দলে কোহলি ও ধোনির না থাকাটাই অনেককে খানিকটা বিস্মিত করেছে।
প্রসঙ্গত,
আজ রবিবার, ২০ জুলাই, আজই ভারত বনাম পাকিস্তানের (India vs Pakistan) ২২ গজের মহাযুদ্ধ হওয়ার কথা ছিল। যদিও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের আঙিনায় নয়, সেটা হওয়ার কথা ছিল লেজেন্ডস বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে। বিলেতে আজ দুই প্রতিবেশি দেশের ম্যচ আয়োজিত হত। তবে সেই ম্যাচ শেষমেশ বাতিল করা হয়।
চলতি বছরের এপ্রিল মাসেই পহেলগাঁওয়ে নিরপরাধ, অস্ত্রহীন সাধারণ ট্যুরিস্টদের ওপর আক্রমণ চালায় সন্ত্রাসবাদীর। পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিদের আক্রমণের পরেই কড়া ব্যবস্থা নেয় ভারত সরকার। পড়শি দেশে জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংসের উদ্দেশে চলানো হয় 'অপারেশন সিঁদুর'। সেই সন্ত্রাসবাদী আক্রমণের পর কয়েক মাস কেটে গেলেও, সেই আক্রমণের ক্ষত এখনও ভারতীয়দের মনে দগদগে। তারপরেই বিভিন্ন মহল থেকে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সমস্ত খেলাধুলোও বয়কটের ডাক উঠেছিল। এখনও পর্যন্ত আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ময়দানে দুই দলের মুখোমুখি হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়নি। তবে পহেলগাঁও আক্রমণের পর এই টুর্নামেন্টেই প্রথমবার ভারত বনাম পাকিস্তান ম্যাচ হওয়ার কথা ছিল।
কিন্তু ম্যাচের আগেই হরভজন সিংহ, ইউসুফ পাঠান রিপোর্ট অনুযায়ী জানিয়ে দেন তাঁরা ওই হামলার পর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে খেলতে আগ্রহী নন। ইরফান পাঠানও সহমত পোষণ করেন। তাঁরা এই বিষয়ে কোনও বিবৃতি দেননি অবশ্য। তবে শিখর ধবন পরবর্তীতে সাফ সাফ জানিয়ে দেন তিনি পহেলগাঁও ঘটনার জেরেই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচ না খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। একাধিক ক্রিকেটারের অসন্তোষের জেরেই শেষমেশ কার্যত বাধ্য হয়েই ম্যাচের দিন সকালে ডব্লুসিএল কর্তৃপক্ষের তরফে জানিয়ে দেওয়া ভারত বনাম পাকিস্তানের ম্যাচ আয়োজিত করা হচ্ছে না।