দাম্বুলা: সূর্যকুমার যাদব (Suryakumar Yadav), গৌতম গম্ভীর-জমানার শুরুটা বেশ ভালভাবেই হল। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে (IND vs SL) ৪৩ রানের বড় ব্যবধানে জয় পেয়েছে ভারতীয় দল। প্রথমে ব্যাট করে ২১৩ রান বোর্ডে তোলার পর বল হাতে টিম ইন্ডিয়া শুরুটা খুব ভাল না করলেও, ইনিংসের দ্বিতীয়ার্ধে দারুণভাবে ম্যাচে ফিরে আসেন ভারতীয় বোলাররা। দলকে এনে দেন কাঙ্খিত জয়। তবে ম্যাচ হারলেও, শ্রীলঙ্কার আগ্রাসী ক্রিকেটের প্রশংসাই করলেন সূর্যকুমার।


২১৪ রানের বড় টার্গেট তাড়া করতে নেমে শ্রীলঙ্কান দলের শুরুটা ভাল হওয়ার প্রয়োজন ছিল। পাথুম নিসাঙ্কা ও কুশল মেন্ডিসের দৌলতেই ঠিক সেটাই করে দ্বীপরাষ্ট্র। ওপেনিংয়ে ৮৪ রান যোগ করেন কুশল ও পাথুম। তবে মিডল এবং লোয়ার অর্ডার সম্পূর্ণ ব্যর্থ। প্রথম চারজন বাদে কোনও লঙ্কান ব্যাটার দুই অঙ্কের রান অবধি করতে পারেননি। অধিনায়ক চরিথ আসালঙ্কাসহ মোট তিনজন লঙ্কান ব্যাটার খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফেরেন। তাও কিন্তু ভারতীয় অধিনায়ক প্রতিপক্ষের প্রশংসাই করলেন। উল্টে নিজেদের কিছুটা ভাগ্যবানই মনে করছেন তিনি। 


ম্যাচ শেষে সূর্য বলেন, 'ওরা প্রথম বল থেকেই দারুণ ইতিবাচক ক্রিকেট খেলছি। প্রয়োজনীয় রান রেটের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ইনিংস এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল। এর জন্য ওদের বাহবা প্রাপ্য। রাতের দিকে উইকেট কেমন আচরণ করতে পারে সেটা আমরা জানি। আমদের সৌভাগ্য যে মাঠে শিশির পড়েনি। আমরা বিশ্বকাপে যেভাবে খেলেছিলাম, তার থেকে আত্মবিশ্বাস পেয়েছিলাম। জানতাম যে খেলার এখনও অনেকটা বাকি। আমাদের সব সিদ্ধান্ত সবসময়ই দলের স্বার্থে হবে।'


সিরিজ় শুরুর আগেরদিন সাংবাদিক সম্মেলনে সূর্যকুমারকে প্রশ্ন করা হয়েছিল অধিনায়কত্ব কি তাঁর ব্যাটিংয়ে প্রভাব ফেলতে পারে। সেদিন কিন্তু সেই তত্ত্ব ফুৎকারে উড়িয়ে দিয়েছিলেন নবনির্বাচিত ভারতীয় টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক। ম্যাচে কিন্তু নিজের কথা অক্ষরে অক্ষরে রাখলেন তিনি। এদিন অধিনায়ক সূর্য ২৬ বলে ৫৮ রানের দুরন্ত আগ্রাসী ইনিংস খেলেন। এই ইনিংসের জন্যই তাঁকে ম্যাচ সেরাও নির্বাচিত করা হয়। এই নিয়ে বিরাট কোহলির মতোই ১৬তম বিশ ওভারের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ম্যাচ সেরা হলেন সূর্য। এবার অপেক্ষা পরের ম্যাচের। 


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।


আরও পড়ুন: অভিষেক অলিম্পিক্স ম্যাচেই দুরন্ত পারফরম্যান্স, পিছিয়ে পড়েও জয় ছিনিয়ে নিলেন প্রীতি