লন্ডন: বর্তমানে ভারতীয় দল বিশেষত সীমিত ওভারের ক্রিকেটে, টিম ইন্ডিয়ার (Team India) অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হলেন সূর্যকুমার যাদব (Suryakumar Yadav)। তবে তিনি ইতিমধ্যেই টেস্ট ক্রিকেটও খেলে ফেলেছেন সূর্যকুমার। ক্রিকেটমহলে অবশ্য সূর্যকুমার নয়, তিনি প্রসিদ্ধ 'স্কাই' নামেই। কিন্তু তাঁকে কে এই নামটি দিয়েছিলেন? রহস্যভেদ করলেন ভারতের তারকা নিজেই।
'স্কাই' নামের রহস্যভেদ
সদ্য বিসিসিআইয়ের তরফে সোশ্যাল মিডিয়ায় এক ভিডিও পোস্ট করা হয়। সেখানে সূর্যকুমার যাদব জানান তাঁর নামটা অনেকটা বড় হওয়ায় গৌতম গম্ভীরই তাঁকে 'স্কাই' ডাকনামটি দেন। তাঁকে বলতে শোনা যায়, 'আমি কেকেআরের হয়ে খেলার সময় ২০১৪-১৫ সালে এই নামটির উৎপত্তি। সেইসময় গৌতি ভাই (গৌতম গম্ভীর) এই নামটি দেন, কারণ ওঁ বলেছিল সূর্যকুমার যাদব নামটা সকলের ডাকার জন্য অনেকটাই বড়। সেখানেই স্কাই নামটা এসেছে।'
পাশাপাশি ভারতীয় দলে কোন তারকাদের সঙ্গে তিনি সময় কাটাতে পছন্দ করেন, সেই নিয়েও নিজের পছন্দ জানিয়ে দেন সূর্য। তিনি বলেন, 'এমন তো অনেকজনই রয়েছে। সকলেই আমার ভাল বন্ধু। তবে আমি ঈশান (কিষাণ), মহম্মদ সিরাজ, অক্ষর পটেল, রবিচন্দ্রন অশ্বিনের সঙ্গে সময় কাটাতে সবথেকে বেশি পছন্দ করি। ওদের সঙ্গে কথা বলতে, ওদের আশেপাশে থাকতে ভাল লাগে।' সূর্য আরও জানান যে তাঁর সতীর্থদের মধ্যে ঈশানই মজা করতে সবথেকে বেশি পছন্দ করেন।
পাশাপাশি সৌরভ-শাস্ত্রী
তাঁদের দুজনের দ্বন্দ্ব ক্রিকেটমহলে সর্বজনবিদিত। রবি শাস্ত্রীকে (Ravi Shastri) ভারতীয় দলের কোচের পদ থেকে সরানোয় তৎকালীন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় (Sourav Ganguly) অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছিলেন বলে মনে করেন অনেকে। শাস্ত্রীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার জন্যই বিরাট কোহলিও সৌরভের বিরাগভাজন হয়ে পড়েছিলেন বলে মনে করেন কেউ কেউ।
সেই সৌরভ ও শাস্ত্রী এবার পাশাপাশি বসে কাজ করবেন। একে অপরের সঙ্গে ক্রিকেট নিয়ে মত বিনিময় করবেন! শুনতে বিস্ময়কর লাগলেও, ভারতীয় দলের দুই প্রাক্তন অধিনায়ককে পাশাপাশি বসে কাজ করতে দেখা যাবে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে। ধারাভাষ্যকার হিসাবে থাকবেন দুজনই। সঙ্গে থাকবেন লক্ষ্মীপতি বালাজিও।
তবে ভিন্ন দুই ভাষায় কাজ করবেন দুজনে। ভারত-অস্ট্রেলিয়া ফাইনালের সম্প্রচারকারী চ্যানেলের তরফে জানানো হয়েছে, সুনীল গাওস্করের সঙ্গে ইংরেজিতে ধারাভাষ্য দেবেন শাস্ত্রী। সঙ্গে থাকবেন ম্যাথু হেডেনও। সৌরভ ধারাভাষ্য দেবেন হিন্দিতে। সঙ্গী হরভজন সিংহ, দীপ দাশগুপ্ত, এস শ্রীসন্থরা।