শিলিগুড়ি: বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য তিনি। বাংলার একমাত্র ক্রিকেটার হিসাবে বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ পেয়েছেন। সেই রিচা ঘোষের (Richa Ghosh) শিলিগুড়ির হাতি মোড়ের বাড়িতে গেলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বিরোধী দলনেতা নিয়ে গিয়েছিলেন একাধিক উপহার।

Continues below advertisement


শুক্রবার শুভেন্দুর সঙ্গে ছিলেন দার্জিলিংয়ের বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তা, শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ, ডাবগ্রাম ফুলবাড়ির বিজেপি বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায়-সহ বিজেপি নেতৃত্ব। রিচার শিলিগুড়ির বাড়িতে গিয়ে তাঁকে বিশ্বকাপ জেতার জন্য শুভেচ্ছা জানান শুভেন্দু। ফুলের তোড়া তুলে দেন বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেটারের হাতে। সঙ্গে ৫ লক্ষ টাকার চেক, সোনার চেন দিয়ে শুভেচ্ছা জানান শুভেন্দু। রুপোর তৈরি ভারতের মানচিত্র রিচার হাতে তুলে দেন শুভেন্দু। রিচাকে সংবর্ধনা জানানোর পর বেশ কিছুক্ষণ রিচার সঙ্গে গল্পও করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা এবং বিজেপির অন্যান্য সাংসদ এবং বিধায়কেরা। চলে মিষ্টিমুখ পর্বও।


রিচার বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসে শুভেন্দু বলেন, 'বিশ্বকাপ জয়ের পর রিচার বাবার সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছিল। বাড়িতেও এসেছিলাম। কিন্তু সেদিন রিচা ছিল না। বাইরে ছিল। বিশ্বজয়ের পর নানা জায়গায় সংবর্ধনা নেওয়ার ব্যস্ততা ছিল। আজ আবার ওর বাড়িতে এসে রিচার সঙ্গে দেখা হল, কথা হল। আমি খুবই খুশি।'


রিচা বিশ্বকাপ জিতে রাজ্যে ফেরার পর থেকে সংবর্ধনার প্লাবনে ভাসছেন। তাঁরে সংবর্ধনা দেয় সিএবি ও রাজ্য সরকার। ইডেন গার্ডেন্সে একটি জমকালো অনুষ্ঠানও আয়োজিত হয়েছিল। সেখানে রিচাকে বরণ করে নেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও জাতীয় দলের কিংবদন্তি ক্রিকেটার সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। ইডেনের সেই অনুষ্ঠানে সৌরভ বলেছিলেন, 'রিচা আরও সুযোগ পাবে। সমস্ত সুযোগ কাজে লাগাও। একদিন যেন এখানে দাঁড়িয়ে বলতে পারি, রিচা ভারতের অধিনায়ক। সবে ২২ বছর বয়স। এখনও সময় আছে। সেই দিনটার অপেক্ষায় আছি।'


রিচাকে ভারতের মহিলা ক্রিকেট দলে ফিনিশার হিসাবে দেখা যাচ্ছে। রিচার কাজটা যে সহজ নয়, মেনে নিয়েছেন সৌরভ। তিনি বলেছেন, 'রিচা শুধু ভাল প্লেয়ারই নয়, স্মৃতি, হরমনপ্রীত, মিতালিকে আপনারা দেখেছেন। রিচা ছ’নম্বরে ব্যাট করতে নেমে যে কাজটা করে সেটা সবচেয়ে কঠিন। কারণ, এমন একটা সময় যখন বল কম পায়। রান করতে হয় অনেক বেশি। আমি দেশের হয়ে ইনিংস ওপেন করতাম। যুবরাজ, কাইফরা ছ’নম্বরে নামত। জানি সেটা কত কঠিন কাজ ছিল।'