হায়দরাবাদ: নিজামের শহরে নতুন কীর্তি গড়লেন অভিমন্যু ঈশ্বরণ। যাঁকে টি-২০ ক্রিকেটের আদর্শ নয় বলে মনে করেন অনেকে। ব্যাট হাতেই যে তকমা ঘুচিয়ে দিলেন অভিমন্যু। হায়দরাবাদে পঞ্জাবের বিরুদ্ধে সৈয়দ মুস্তাক আলি টি-২০ টুর্নামেন্টের ম্যাচে ঝোড়ো সেঞ্চুরি গড়লেন অভিমন্যু। ভেঙে দিলেন ঋদ্ধিমান সাহার রেকর্ড। তবু বিরাট ব্যবধানে ম্যাচ হারতে হল বাংলাকে। সৈয়দ মুস্তাক আলি টি-২০ টুর্নামেন্টে বাংলার প্রথম পরাজয়।

Continues below advertisement

৬৬ বলে অপরাজিত ১৩০ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেললেন অভিমন্যু। ভেঙে গেল ঋদ্ধিমান সাহার কীর্তি। ঋদ্ধির ৬২ বলে ১২৯ রানই ছিল সৈয়দ মুস্তাক আলি টি-২০ টুর্নামেন্টে বাংলার কোনও ব্যাটারের করা সর্বোচ্চ রান। সেই রেকর্ড ভেঙে রবিবার হায়দরাবাদে নতুন মাইলফলক তৈরি করলেন অভিমন্যু।

ম্যাচে অবশ্য বাংলা দাঁড়াতেই পারল না। কার্যত একজনের কাছে হার মানতে হল বাংলাকে। তিনি, অভিষেক শর্মা (Abhishek Sharma)! বর্তমান ক্রিকেট বিশ্বের এক নম্বর টি-টোয়েন্টি ব্যাটার। হায়দরাবাদ হোক বা হোবার্ট, ব্যাট হাতে অভিষেকের ঝড় তোলা যেন এখন নিয়ম হয়ে গিয়েছে। রবিবাসরীয় হায়দরাবাদেও তেমনটাই দেখা গেল। সেই অভিষেক ঝড়েই উড়ে গেলেন বাংলার বোলাররা। মহম্মদ শামি, আকাশ দীপ, ঋত্বিক চট্টোপাধ্যায়দের গুঁড়িয়ে অনবদ্য সেঞ্চুরি করলেন অভিষেক। মাত্র ৩২ বলে। আর এই ইনিংসের সুবাদেই তিনি নিজের গুরু যুবরাজ সিংহের কৃতিত্বেও ভাগ বসালেন।

Continues below advertisement

এদিন বাংলার বিরুদ্ধে সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফির (SMAT 2025-26) ম্য়াচে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় পঞ্জাব। শুরু থেকেই বিধ্বংসী মেজাজে ব্যাট করেন অভিষেক। মাত্র একটি ডট বল খেলে পাঁচটি চার এবং পাঁচটি ছক্কা হাঁকিয়ে ১২ বলে নিজের হাফসেঞ্চুরি পূরণ করেন অভিষেক। যুবরাজ সিংহ, ক্রিস গেলদের সঙ্গে যুগ্মভাবে এটি সর্বকালের তৃতীয় দ্রুততম টি-টোয়েন্টি অর্ধশতরান। ভারতীয় হিসাবে দ্বিতীয় দ্রুততম।

হাফসেঞ্চুরি করার পরেও থামেননি অভিষেক। আকাশ দীপ, মহম্মদ শামি, শাহবাজ আমেদ, তাঁর ব্যাটিং ঝড় থেকে বাংলার কোনও বোলারই রক্ষা পাননি। দেখতে দেখতে মাত্র ৩২ বলে সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে ফেলেন অভিষেক। এটি তাঁর নিজের কেরিয়ারেরও দ্বিতীয় দ্রুততম শতরান। এর আগে ২৮ বলে সেঞ্চুরি করেছেন অভিষেক। তাঁর ওপেনিং পার্টনার প্রভসিমরণ সিংহও দুরন্ত মেজাজে নিজের অর্ধশতরান পূরণ করেন। দুইজনে মিলে ওপেনিংয়ে দু'শো রানের পার্টনারশিপও গড়েন। প্রথমে ব্যাট করে পঞ্জাব তোলে ৩১০/৫। জবাবে ১৯৮/৯ স্কোরে আটকে যায় বাংলা। ১১২ রানে ম্যাচ জেতে পঞ্জাব।