রাজকোট: সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে (Syed Mushtaq Ali Trophy) বাংলার সোনার দৌড় চলছে। প্রথম ম্যাচে গতবারের চ্যাম্পিয়ন পাঞ্জাবকে রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ে হারিয়েছিল সুদীপ ঘরামির দল। সোমবার তাদের সামনে ছিল হায়দরাবাদ। সেই হায়দরাবাদ, যাদের নেতৃত্বে রয়েছেন তিলক বর্মা। পরপর তিনটি টি-২০ ম্যাচে সেঞ্চুরি করে যিনি রেকর্ড গড়েছেন। যার মধ্যে জোড়া সেঞ্চুরি দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টি-২০ সিরিজে।


সোমবারও ব্যাটে ঝড় তুললেন তিলক। ৪৪ বলে ৫৭ রান করলেন। তবু সেটা বাংলাকে বিপাকে ফেলতে পারল না। ৮ উইকেটে ম্যাচ জিতে গ্রুপে তিন নম্বরে রইল বাংলা।


বাংলার জয়ের নেপথ্যে বল হাতে মহম্মদ শামির দাপট। ৩.৩ ওভারে মাত্র ২১ রান খরচ করে নিলেন ৩ উইকেট। চোট পেয়ে প্রায় এক বছর মাঠের বাইরে ছিলেন। ৩৬০ দিন পর রঞ্জি ট্রফিতে ফিরেই মধ্য প্রদেশের বিরুদ্ধে দুই ইনিংস মিলিয়ে ৭ উইকেট নিয়ে বাংলাকে ম্যাচ জিতিয়েছিলেন। নিজেকে ফিট প্রমাণ করতে মরিয়া বাংলার ফাস্টবোলার। সৈয়দ মুস্তাক আলি টি-২০ টুর্নামেন্টেও বল হাতে আগুন ঝরাচ্ছেন।


সোমবার রাজকোটে বাংলার জয়ের আরও এক কারিগর কর্ণ লাল। বল হাতে ৩০ রানে ২ উইকেট। ব্যাটে ৪৬ রান। অলরাউন্ড পারফরম্যান্সের জন্য ম্যাচের সেরা হয়েছেন কর্ণই।


বাংলার বোলারদের দাপটে প্রথমে ব্যাট করে ১৮.৩ ওভারে ১৩৭ রানে অল আউট হয়ে যায় হায়দরাবাদ। শামি ও কর্ণ ছাড়াও উইকেট নিয়েছেন শাহবাজ আমেদ। মাত্র ১৪ রানে ২ উইকেট নেন। সোমবারই যাঁকে নিলাম থেকে কিনেছে লখনউ। 


আরও পড়ুন: ক্যাপ্টেন করতে চেয়ে ফোন, ধরেননি শ্রেয়স? নিলামের দিনই বিতর্কে গতবারের চ্যাম্পিয়ন অধিনায়ক



রান তাড়া করতে নেমে ১৩ বল বাকি থাকতে মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যপূরণ করে বাংলা। ইনিংস ওপেন করতে পাঠানো হয়েছিল অভিষেক পোড়েলকে। ৩৯ বলে ৪১ রান করেন আইপিএলে দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে খেলা উইকেটকিপার ব্যাটার। ২৯ বলে ৪৬ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন কর্ণ। সুদীপ চট্টোপাধ্যায় ২১ বলে ২৩ রান করে এবং শাহবাজ ১৮ বলে ২০ রান করে অপরাজিত ছিলেন।


আরও পড়ুন: ১৩ বছর বয়সে কোটিপতি! আইপিএলে সবই সম্ভব, বিস্ময় ক্রিকেটারকে নিল কোন দল?




আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।