জেড্ডা: নাইট রাইডার্সের জার্সিতে দীর্ঘদিন খেলছেন। শুরুতে আরসিবি ও মাঝে সানরাইজার্স শিবিরে গেলেও কেকেআরই যে আইপিএলের ঘরের মাঠ মণীশ পাণ্ডের কাছে। এবারের নিলামের আগে তাঁকে রিটেন করেনি কেকেআর। কিন্তু নিলামের টেবিল থেকে ফের একবার মণীশ পাণ্ডেকে নিজেদের দলে নিয়ে নিল কেকেআর। ৭৫ লক্ষ বেস প্রাইসেই তাঁকে দলে নিয়ে নিল কেকেআর। আসলে নীতিশ রানাকে নেবে নাইটরা, এমনটাই ভাবা হয়েছিল। তার কারণ শ্রেয়সের অনুপস্থিতিতে রানাই নেতৃত্বভার সামলেছিলেন ২০২৩ মরশুমে। কিন্তু রানার জন্য দরই হাঁকায়নি নাইট শিবির। এরপরই মিডল অর্ডারে স্থিরতা দিতে পারবে এমন একজন ব্যাটারের প্রয়োজন ছিল। 


আইপিএলের ইতিহাসে প্রথম ভারতীয় ব্যাটার যিনি সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন। দেশের জার্সিতেও খেলেছেন। কিন্তু ৩৫ বছরের তারকা ব্যাটার সেভাবে নিজের জায়গা জাতীয় দলে মজবুত করতে পারেননি। তবে আইপিএলে নিয়মিত খেলে চলেছেন প্রথম মরশুম থেকেই। কেকেআরের জার্সিতে ২০১৪ সালে আইপিএলও জিতেছিলেন। যেই দলের অধিনায়ক ছিলেন গৌতম গম্ভীর। এরপর গত মরশুমে গম্ভীর মেন্টর থাকার সময়ও মণীশকে দলে নিয়েছিল নাইটরা। কিন্তু সেভাবে মাঠে নামার সুযোগ পাননি। তবে এবার নীতিশের অনুপস্থিতিতে হয়ত প্রতি ম্য়াচেই মাঠে নামার সুযোগ রয়েছে মণীশের সামনে। নিলামের টেবিলে দিল্লির ক্রিকেটার নীতীশ রানার ন্যূনতম দাম ছিল দেড় কোটি টাকা। তিনি নিজে স্পিন খেলায় দর। পাশাপাশি কার্যকরী স্পিন বোলিংও করেন। নীতীশ রানার অফস্পিন উইকেটও এনে দেয় দলকে। সোমবার, সৌদি আরবের জেড্ডায় নিলামের দ্বিতীয় দিন শুরুতেই নীতীশের জন্য ঝাঁপায় চেন্নাই সুপার কিংস। সঙ্গে সঙ্গেই দর কষতে শুরু করে রাজস্থান রয়্যালস। দ্রুত তাঁর দাম ছাড়িয়ে যায় তিন কোটি টাকা। শেষ পর্যন্ত ৪ কোটি ২০ লক্ষ টাকায় তাঁকে কেনে আরআর।


 






এদিকে, কেকেআর নিলামের প্রথম দিনেই বেঙ্কটেশ আইয়ারকে ২৩ কোটি ৭৫ লক্ষ বিরাট মূল্যে দলে নিয়েছিল। ফলে অনেক টাকা তাদের খরচা হয়ে গিয়েছিল। যার জন্য় খুব অনেক তারকা প্লেয়ারদের জন্য নিলামের টেবিলে ঝাঁপাতে পারেনি কেকেআর।


আরও পড়ুন: নিলামের দ্বিতীয় দিন চমক দেবে কোন দল? কে পাবেন আকাশছোঁয়া দাম? লাইভ আপডেট