ত্রিনিদাদ: এতদূর এসে এভাবে ফিরে যেতে হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ (T20 World Cup 2024) থেকে? মানে, সত্যিই রশিদ খান (Rashid Khan) ও তাঁর দলের প্রথম ইনিংসের শেষে মানসিক পরিস্থিতি কেমন থাকবে, বোঝাই যাচ্ছে। খাতায়-কলমে শক্তিশালী দক্ষিণ আফ্রিকার (South Africa) বিরুদ্ধে খেলতে নেমেছিল আফগানিস্তান (Afghanistan Cricket)। তবুও একটা স্বপ্ন দেখা শুরু করেছিল গোটা দলটা। কিন্তু ব্যাট হাতে ন্যূনতম যে প্রতিরোধ গড়ে তোলা দরকার ছিল। সেটাও তো হল না। রাবাডা, ইয়েনসেনদের বোলিংয়ের সামনে এতেবারে ধূলিসাৎ হয়ে গেল আফগানিস্তানের ব্যাটিং লাইন আপ। মাত্র ৫৬ রান বোর্ডে তুলতে পারল তারা।
টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন আফগানিস্তান অধিনায়ক রশিদ খান। প্রথম ওভারে মার্কো ইয়েনসেন এলেন বল করতে। অন্য়দিকে ক্রিজে আফগানিস্তান ব্যাটিংয়ের ২ প্রধান স্তম্ভ রহমনউল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরান। গোটা টুর্নামেন্টে আফগান ব্যাটিংয়ের মূল ভরসা ছিলেন এই দুজনেই। কারণ প্রত্যেক ম্য়াচেই মূলত আফগান বোলিং ব্রিগেডই দায়িত্ব নিয়ে জিতিয়েছে দলকে। তা নিউজিল্যান্ড ম্য়াচ হোক বা অস্ট্রেলিয়া ম্য়াচ। রাবাডা, ইয়েনসেন, মহারাজ, শামসিদের এদিন মূলত দায়িত্ব ছিল গোড়াতেই পচন ধরিয়ে দেওয়া। প্রথম ওভারেই সেই কাজটা করলেন ইয়েনসেন। প্রথম তিনটি দল লেগস্ট্যাম্পের লাইনে করলেও ইনিংসের শেষ বলে ইয়েনসেনের বলের কোনও জবাব ছিল না গুরবাজের কাছে। ব্যাটের কানায় খোঁচা লেগে স্লিপে চলে যায় বল। খাতা খোলার আগেই ফিরে গেলেন গুরবাজ। এরপরের ওভারে রাবাডার বলে বোল্ড হয়ে গেলেন ইব্রাহিম জাদরানও। তখনই আশঙ্কা করা গিয়েছিল যে আজ আফগানদের কপালে দুঃখ রয়েছে। কারণ মিডল অর্ডার এমনিতেই নড়বড়ে। গুলবদিন এসে দুটো বাউন্ডারি হাঁকালেও ইয়েনসেনের বলে বোল্ড হয়ে গেলেন ৯ রান করে। এরপর শুধু আসা-যাওয়ার পালা ছিল। নবি শূন্য, রশিদ ৮, করিম জন্নত ৮, নূর ০ রানে প্যাভিলিয়ন ফিরলেন। আফগানিস্তানের ব্যাটিং লাইন আপে একমাত্র দু অঙ্কের ঘরে পৌঁছতে পেরেছেন ওমরজাই। তিনি ১০ রান করেন। শেষ পর্যন্ত ১১.৫ ওভারেই অল আউট হয়ে যায় আফগানিস্তানের ইনিংস।
দক্ষিণ আফ্রিকার বোলারদের মধ্যে সর্বাধিক ৩ উইকেট নেন মার্কো ইয়েনসেন। শামসিও তিন উইকেট নেন। রাবাডা ও নোকিয়া ২টো করে উইকেট নেন। এদিন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ৫৬ রান করার সঙ্গে সঙ্গে এক লজ্জার রেকর্ড গড়ল আফগানিস্তান ক্রিকেট দল। টুর্নামেন্টের সেমির ইতিহাসে এটাই কোনও দলের করা নর্বনিম্ন রান।