নিউ ইয়র্ক: ভারতের বিরুদ্ধে ওয়ার্ম আপ ম্য়াচে হারতে হয়েছিল। কিন্তু টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্য়াচে জয় ছিনিয়ে নিল বংলাদেশ। তারা হারিয়ে দিল শ্রীলঙ্কাকে। দক্ষিণ আফ্রিকা ম্য়াচের পর টাইগারদের বিরুদ্ধেও হার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার দলের। ২ উইকেটে জয় নাজমুল হোসেন শান্তদের। অন্য়দিকে জোড়া হারে টুর্নামেন্টের থেকে ছিটকে যাওয়ার মুখে লঙ্কা বাহিনী।
প্রথম ম্য়াচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে হারের পর এই ম্য়াচটা জেতা ভীষণভাবে দরকার ছিল হাসারাঙ্গার দলের জন্য। এদিন টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন শান্ত। কুশল মেন্ডিসকে সঙ্গে নিয়ে শুরুটা কিন্তু বেশ ভালই করেছিলেন লঙ্কা ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কা। মেন্ডিস অবশ্য বেশি রান করতে পারেননি। তিনি ১০ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। অন্য়দিকে নিশাঙ্কা বেশ মারমুখি মেজাজে ব্যাটিং করছিলেন। তিনি ২৮ বলে ৪৭ রানের ইনিংস খেলেন। নিজের ইনিংসে সাতটি বাউন্ডারি ও ১টি ছক্কা হাঁকান নিশাঙ্কা। একটা সময় মনে হচ্ছিল যে বোর্ডে বড় রান হয়ত তুলে ফেলতে পারবে শ্রীলঙ্কা। কিন্তু নিশাঙ্কা কোনও লঙ্কা ব্যাটারের সঙ্গ পেলেন না ঠিকভাবে। ধনঞ্জয় ডি সিলভা ২১ ও আসালাঙ্কা ১৯ রানের ইনিংস খেলে আউট হন। অভিজ্ঞ অ্যাঞ্জেলো ম্য়াথিউজ আরও একবার ফ্লপ। মাত্র ১৬ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরলেন তিনি ১৯ বল খরচ করে। অধিনায়ক হিসেবে প্রথম দুটো ম্য়াচ ভুলতে চাইবেন ব্যাটার হাসারাঙ্গা। শূন্য় রান এখনও ঝুলিতে ২ ম্য়াচ পরে। এদিনও প্রথম বলেই ফিরলেন। ১২৪ রানের বেশি বোর্ডে তুলতে পারেনি শ্রীলঙ্কা। বাংলাদেশের লেগস্পিনার রিশাদ হোসেন একাই ৩ উইকেট নেন। ৩ উইকেট নেন মুস্তাফিজুর রহমন।
রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই অবশ্য সৌম্য সরকারের উইকেট হারায় বাংলাদেশ। খাতাই খুলতে পারলেন না টাইগারদের ওপেনার। মন্থর ব্যাটিং শুরু করেন লিটন দাস। তানজিদ হাসান ৩ ও অধিনায়ক শান্ত ৭ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। তবে খেলার মোড় ঘুরিয়ে দেন তৌহিদ হৃদয়। মারকাটারি ব্যাটিংয়ে ২০ বলে ৪০ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। হাঁকান চারটি ছক্কা। তাঁর সঙ্গে লিটনের পার্টনারশিপই জয়ের ভিত গড়ে দেয় বাংলাদেশের। তবুও হৃদয় আউট হওয়ার পর কিছুটা চাপ বেড়েছিল টাইগারদের। লিটন ৩৮ বলে ৩৬ রান করেন। তবে শেষদিকে এসে মাহমুদুল্লাহ ১৩ বলে ১৬ রানের ইনিংস খেলে ম্য়াচে বাংলাদেশের জয় নিশ্চিত করেন।