মুম্বই: মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে তিনি ২০১১ সালে বিশ্বকাপ ফাইনাল জয়ী ভারতী দলের তরুণ সদস্য ছিলেন। বৃহস্পতিবার যখন ভারতীয় দল আরও একবার বিশ্বকাপ জিতে পা রেখেছে ওয়াংখেড়েতে, তখন তিনি এই দলের অন্য়তম সিনিয়র সদস্য। বিসিসিআইয়ের তরফে বিশ্বজয়ী ভারতীয় দলকে সংবর্ধনা দেওয়া হল ওয়াংখেড়েতে। সেই মঞ্চ থেকেই ফাইনালের ম্যাচের সেরা বিরাট স্মৃতি উসকে দিলেন আজ থেকে ১৩ বছর আগের বিশ্বজয়ের মুহূর্তের। প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক কথা বলার শুরুতেই গোটা গ্য়ালারিতে বিরাট বিরাট শব্দব্রহ্ম। সবাইকে থামিয়ে কোহলি বলা শুরু করলেন, ''প্রথমত সবাইকে ধন্যবাদ। এই রঙিন রাতটা আমি জীবনে কোনওদিনও ভুলব না। আমরা বার্বাডোজ থেকে যত দ্রুত চাইছিলাম দেশে ফিরতে। এই মুহূর্তটা আমি কোনওদিনই ভুলতে পারব না। গত চারদিন স্বপ্নের মত কেটেছে। যা হয়েছে তা সত্যিই অসাধারণ। আমার কাছে ভীষণ ভীষণ স্পেশাল।''
নিজের স্মরণীয় টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট কেরিয়ার। কিন্তু বিরাটের মুখে অন্য একজনের নাম। তিনি যশপ্রীত বুমরা। ফাইনালের শেষ পাঁচটি ওভারের দুটো ওভারে যিনি দলকে খাদের কিনার থেকে টেনে তুলেছিলেন। এছাড়াও বারবার দেশের জার্সিতে শেষ মুহূর্তে ম্য়াচের রং বদলে দিয়েছেন। কোহলি বলছেন, ''একজনের নাম আমি আলাদা করে উল্লেখ করতেই চাই। যে আমাদের জন্য বারবার সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে। যে বারবার আমাদের ম্য়াচে ফিরিয়েছে। শেষ পাঁচ ওভারের দুটো ওভার ও যা করেছে, তা এককথায় অনবদ্য। একটা প্রজন্মে এমন একজনই বোলার আসে, বুমরার বিকল্প কেউ নেই।''
১৩ বছর আগের বিশ্বকাপ জয় আর এই জয়ের মধ্যে তফাৎ কোথায়? বিরাট বলছেন, ''আমি যখন ওয়ান ডে বিশ্বকাপ জিতেছিলাম, তখন তরুণ ছিলাম। দেখছিলাম সিনিয়র ক্রিকেটাররা কতটা আবেগপ্রবণ হয়ে গিয়েছিলেন। আমার মনে হচ্ছিল যে আমরা তাে বিশ্বজয় করেছি, তাহলে সবাই এত আবেগপ্রবণ কেন হয়ে যাচ্ছে। কেন কাঁদছে। কিন্তু এবারের পরিস্থিতিটা আলাদা। আমি ও রোহিত এই মুহূর্তটার জন্য বারবার অপেক্ষা করেছিলাম এই দিনটার। একটাই লক্ষ্য ছিল, দলকে যত দূর সম্ভব টেনে নিয়ে যাওয়া। এই প্রথমবার আমি রোহিতকে দেখেছিলাম এতটা আবেগপ্রবণ হয়ে পড়তে। আমি কাঁদছিলাম, ও কাঁদছিল। ড্রেসিংরুমে ঢোকার মুহূর্তে দুজন দুজনকে জড়িয়ে ধরেছিলাম।''
উল্লেখ্য, দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ব্যাট হাতে ফাইনালে রোহিত, পন্থরা ব্যর্থ হলেও জ্বলে উঠেছিলেন গোটা টুর্নামেন্টে ফর্মে না থাকা বিরাট। ৫৯ বলে ৭৬ রানের ম্য়াচ জেতানো ইনিংস খেলেছিলেন কিং কোহলি।