বার্বাডোজ: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের (T20 World Cup 2024) প্রথম ম্য়াচ, যা বৃষ্টিতে পুরো ওভারই খেলা হল না। মাত্র ১০ ওভারই ব্যাটে-বলের লড়াই হল। বারবার বাধ সাধল বৃষ্টি। খেলা পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হল। ইংল্যান্ড বনাম স্কটল্যান্ড ম্য়াচের ফল ঘোষণা হল না। 


বার্বাডোজের কিংস্টোন ওভালে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন স্কটল্যান্ড অধিনায়ক রিচি বেরিংটোন। ওপেনে নেমেছিলেন স্কটল্যান্ডের ২ ওপেনার জর্জ মুন্সি ও মাইকেল জোন্স। ইংল্যান্ডের একাদশে এদিন খেলানো হয়েছিল জোফ্রা আর্চারকে। তাঁর সঙ্গে বোলিং ডিপার্টমেন্টে ছিলেন ক্রিস ডর্ডন, আদিল রাশিদ ও মার্ক উড। অভিজ্ঞতায় পরিপূর্ণ ইংল্যান্ডের বোলিং লাইন আপ। কিন্তু স্কটিশ ব্যাটাররা চমক দেখালেন এদিন। ২ ওপেনার শুরু থেকেই ইংল্যান্ডের বোলিং লাইন আপের বিরুদ্ধে পাল্টা লড়াইয়ের পথ বেছে নিলেন। প্রথম ৬ ওভারে পাওয়ার প্লে-তে ৪৯ রান বোর্ডে তুলে নিয়েছিলেন স্কটল্যান্ডের ওপেনাররা। কিন্তু এরপরই বৃষ্টি নামে কিংস্টোন ওভালে। বৃষ্টির জন্য দীর্ঘক্ষণ খেলা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।


প্রায় দুই ঘণ্টা পর বৃষ্টি থামলে ফের খেলা শুরু হয়। ওভার কমিয়ে ১০ ওভার পার সাইড ম্য়াচ করা হয়। আয়ারল্যান্ড তখন ছিল ৬.২ ওভারে ৫২ রানে। সেখান থেকেই স্কোরবোর্ডে এগনো শুরু হয় স্কটল্যান্ডের। শেষ পর্যন্ত ১০ ওভার শেষে ৯০ রান তুলতে পারে স্কটিশরা। কোনও উইকেট হারায়নি তারা। ইংল্যান্ডের সামনে লক্ষ্যমাত্রা দাঁড়ায় নির্ধারিত ১০ ওভারে ১০৯। তবে ইংল্য়ান্ড রান তাড়া করতে নামার আগেই বৃষ্টি নামে ফের। এরপর আর আম্পায়াররা খেলা শুরু করতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত অনেকক্ষণ আলোচনার পর ম্য়াচ পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। 


এদিকে অন্য ম্য়াচে নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে হারতে হল নেপালকে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্য়াচ খেলতে নেমেছিল নেপাল। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ১৯.২ ওভারে ১০৬ রানই বোর্ডে তুলতে সামর্থ্য হয়েছিল নেপাল দলটি। অল্প রানের পুঁজি নিয়ে লড়ছিল তারা। রান তাড়া করতে নেমে অবশ্য চাপে পড়ে নেদারল্যান্ডস। ১৫.৪ ওভারে ৮৫ রানের মধ্যে চার উইকেট খুঁইয়ে ফেলেছিল ডাচরা। সেখান থেকে মনে হচ্ছিল নেপাল খেলায় ফিরে আসছে। কিন্তু ডাচদের হয়ে অর্ধশতরান হাঁকিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করেন ম্যাক্স ওডড। তাঁর ক্যাচও ফেলেছিলেন রোহিত পাউডেল। শেষ পর্যন্ত আট বল বাকি থাকতেই ম্য়াচ জিতে যায় নেদারল্যান্ডস।