নিউ ইয়র্ক: একেই পিচ নিয়ে বিতর্ক ছিলই। এমন ড্রপ ইন পিচ কেমন ব্য়বহার করবে, তা নিয়েই সন্দিহান ছিল দুই দলই। এরমধ্যে ম্য়াচের আগে দুবার খাপ খেয়ে খেয়ে যেভাবে বৃষ্টি নামল, তারপরই টস একটা বড় ফ্যাক্টর হয়ে গিয়েছিল। আর সেখানেই টস জিতে ম্য়াচে কিছুটা এগিয়ে গিয়েছিলেন বাবর আজম। ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন পাক অধিনায়ক। আর সেই সিদ্ধান্তের একেবারে সদ্বব্যবহার করলেন মহম্মদ আমির, নাসিম শাহরা। রীতিমত ভাঙন ধরালেন পাকিস্তানের পেস অ্যাটাক। মাত্র ১১৯ রানে গুটিয় গেল রোহিত ব্রিগেডের ইনিংস।


বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্য়াচে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজম। ভারতের হয়ে ওপেনে নেমেছিলেন স্বাভাবিকভাবই রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলি। আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে ১ রান করে ফিরেছিলেন। এদিনও রান পেলেন না কোহলি। যুক্তরাষ্ট্রে এসে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ওয়ার্ম আপ ম্য়াচ না খেলার খেসারতই কি দিতে হচ্ছে কিং কোহলিকে? এদিন নাসিম শাহকে একটি বাউন্ডারি হাঁকান প্রথমে। এরপর সেই ওভারেই পয়েন্টে ক্যাচ আউট হলেন প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক। এদিন ৪ রানে ফিরলেন প্যাভিলিয়নে। রোহিত শর্মা ক্রিজে থিতু হওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। প্রথম ওভারেই আফ্রিদিকে একটি ছক্কাও হাঁকান। কিন্তু সেই আফ্রিদির বলেই ক্যাচ আউট হয়ে গেলেন ১৩ রান করে। এপর পন্থের সঙ্গে পার্টনারশিপ গড় তোলার একটা চেষ্টা করছিলেন অক্ষর পটেল। 


১৯ রানের মধ্যে ২ উইকেট খুঁইয়ে বসেছিল ভারত। সেখানে চতুর্থ উইকেটে ৩৯ রানের পার্টনারশিপ গড়ে তোলেন পন্থ ও অক্ষর। কিন্তু অক্ষর ফিরতেই ধস নামে ভারতীয় ব্যাটিংয়ে। অক্ষর ১৮ বলে ২০ রানে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। পন্থ উল্টোদিকে বেশ কয়েকবার জীবনদান পান। তিনি ৬টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৩১ বলে ৪২ রানের ইনিংস খেলেন। নিজে ৬টি বাউন্ডারি হাঁকান তরুণ উইকেট কিপার ব্যাটার। কিন্তু এরপর ভারতের আর কোনও ব্যাটার দায়িত্ব নিয়ে খেলতে পারেননি। মাত্র ৭ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন সূর্যকুমার যাদব। যেই শিবম দুবেকে নিয়ে এত প্রশ্ন উঠছিল, তিনি আজ ৩ রান করে ফিরলেন। ১২ বলে ৭ রান করে ফিরলেন হার্দিক পাণ্ড্যও। রবীন্দ্র জাডেজা খাতাই খুলতে পারেননি। একটা সময় পরপর পন্থ ও ডাজেডাকে আউট করে হ্যাটট্রিকের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন আমির। যদিও তা হয়নি। কিন্তু তাতে ভারতের কোনও লাভ হয়নি। 


পাক বোলারদের মধ্য়ে নাসিম ও হ্যারিস তিনটি করে উইকেট নেন। ২ উইকেট নেন আমির ও এক উইকেট নেন শাহিন আফ্রিদি।