নিউ ইয়র্ক: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দুর্দান্ত শুরু করল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। কানাডার বিরুদ্ধে ৭ উইকেটে জয় ছিনিয়ে নিল দলটি। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে কানাডা বোর্ডে তুলে নিয়েছিল ১৯৪ রান। জবাবে রান তাড়া করতে নেমে মাত্র ৩ উইকেট হারিয়ে ১৭.৪ ওভারে জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয় যুক্তরাষ্ট্র। আয়োজক দেশটির হয়ে ৪০ বলে ৯৪ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন অ্যারন জোন্স। 


মাত্র ৪০ বলে অপরাজিত ৯৪ রানের ঝোড়ো ইনিংস। রবিবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেই চার-ছক্কার বন্যা দেখা গেল যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাটার অ্যারন জোন্সের ব্যাটে। নিজের ইনিংসে চারটি বাউন্ডারিও হাঁকান জোন্স। তাঁকে যোগ্য সঙ্গ দেন প্রাক্তন প্রোটিয়া প্লেয়ার ও বর্তমানে টেক্সাসের বাসিন্দা আন্দ্রেইস গোস। ১৯৫ রান তাড়া করতে নেমে তৃতীয় উইকেট জুটিতে ১৩১ রান যোগ করেন দুজনে। গোস ৬৫ রানের ইনিংস খেলেন ৭টি বাউন্ডারি ও ৩টি ছক্কার সাহায্য়ে। যুক্তরাষ্ট্র প্রথমবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মঞ্চে খেলতে নেমেছিল। আর প্রথমবারেই জয় ছিনিয়ে নিল যুক্তরাষ্ট্রের দলটি। এমনকী তাঁদের টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ইতিহাসেও রান তাড়া করতে নেমে সবচেয়ে বড় জয় এটি। 


এদিন টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং নেন যুক্তরাষ্ট্রের অধিনায়ক মােনাঙ্ক। কানাডার হয়ে ওপেনে নেমেছিলেন অ্যারন জনসন ও নভনিৎ ধারিওহাল। জনসন ১৬ বলে ২৩ রানের ইনিংস খেলেন। অন্যদিকে ৪৪ বলে ৬১ রানের ইনিংস খেলেন নভনিত। ৬টি বাউন্ডারি ও ৩টি ছক্কা হাঁকান তিনি। তিন নম্বরে নেমে পারগত সিংহ ৫ রান করেই ফিরে যান। ৩১ বলে ৫১ রানের ইনিংস খেলেন নিকোলাস কির্টন। তিনটি বাউন্ডারি ও ২টো ছক্কা হাঁকান তিনি। শেষ দিকে শ্রেয়স মুভা ১৬ বলে ৩২ রান করে অপরাজিত থাকেন ২টো ছক্কা ও ৪টি বাউন্ডারি মেরে।


রান তাড়া করতে নেমে ওপেনার স্টিভন টেলর খাতা খোলার আগেই ইনিংসের দ্বিতীয় বলে কালিম সানার শিকার হয়ে ফিরে যান। অধিনায়ক মোনাক পটেল ১৬ বলে ১৬ রান করেন। তবে এরপর যুক্তরাষ্ট্রের হাল ধরেন অ্যারন জোন্স ও আন্দ্রেইস গোস। 


এই জয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে তৃতীয় সর্বাধিক রান তাড়া করে জয়। এর আগে ২০১৬ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ২৩০ রান তাড়া করতে নেমে জয় পেয়েছিল ইংল্য়ান্ড। এর আগে ২০০৭ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের উদ্বোধনী মরশুমে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকা ২০৬ রান তাড়া করে জয় ছিনিয়ে নিয়েছিল।