সেন্ট লুসিয়া: অপরাজিত তকমা বজায় রাখল দক্ষিণ আফ্রিকা (South Africa)। এখনও পর্যন্ত চলতি টুর্নামেন্টে কোনও ম্য়াচ না হেরে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে খেলতে নেমেছিল তারা। শুক্রবার ইংল্যান্ডকেও ৭ রানে হারিয়ে দিল এইডেন মারক্রামের (Aiden Markram) দল। সুপার এইটে নিজেদের প্রথম ম্য়াচে যুক্তরাষ্ট্রকে হারানোর পর দ্বিতীয় ম্য়াচে ইংল্য়ান্ডকে হারিয়ে গ্রুপের শীর্ষে চলে গেল তারা। সেমিতে পৌঁছানোর পথেও আরও একধাপ এগিয়ে গেল দক্ষিণ আফ্রিকা। ম্য়াচের সেরা নির্বাচিত হলেন অর্ধশতরান হাঁকানো কুইন্টন ডি কক। 


১৬৪ রানের লক্ষ্যমাত্রা ছিল সামনে। সেই লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৫৬ রানই বোর্ডে তুলতে পারল ইংল্যান্ড শিবির। ইংল্যান্ডের বিস্ফোরক ওপেনিং জুটি বাটলার ও সল্টকে থামানোই মূল চ্যালেঞ্জ ছিল প্রোটিয়া বোলারদের সামনে। আর সেই কাজটাই নিঁখুতভাবে করে কাজ অনেকটাই সহজ করে দিয়েছিলেন তারা। সল্টকে ফেরালেন রাবাডা। ১১ রানের মাথায় আউট হলেন ফর্মে থাক কেকেআর তারকা। দুরন্ত ক্যাচ নিলেন হেন্ড্রিক্স। মহারাজ ফেরালেন বাটলারকে। তিনি ১৭ রান করেন। ১৬ রান করে বেয়ারস্টোও ফিরে যান। একবার রাবাডার বলে ক্যাচ মিস করেন ক্লাসেন। কিন্তু বেশিক্ষণ ক্রিজে থাকতে পারেননি বেয়ারস্টো। মঈন আলি ৯ রান করে ফেরেন। তবে ম্য়াচ জমিয়ে দিয়েছিলেন লিয়াম লিভিংস্টোন ও হ্যারি ব্রুক। একটা সময় ইংল্যান্ডের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ৩ ওভার মাত্র ২৫ রান। কিন্তু আঠারোতম ওভারে রাবাডার বলে লিভিংস্টোন ৩৩ রান করে ফিরতেই ফের ভাঙন ধরে ইংল্য়ান্ডের ব্যাটিং লাইন আপে। ব্রুক অর্ধশতরান করলেও ম্য়াচ জিতিয়ে মাঠ ছাড়তে পারলেন না। ৩৭ বলে ৫৩ রানের ইনিংস খেলে নোকিয়ার বলে ক্য়াচ আউট হন। স্য়াম কারান ৭ বলে ১০ রান করে অপরাজিত থাকলেও ম্য়াচ জেতাতে পারেননি। 


এর আগে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৩৮ বলে ৬৫ রানের ইনিংস খেলেন কুইন্টন ডি কক। নিজের ইনিংসে চারটি বাউন্ডারি ও চারটি ছক্কা হাঁকান তিনি। ২৮ বলে ৪৩ রান করেন ডেভিড মিলার। ৪টি বাউন্ডারি ও ২টো ছক্কা হাঁকান তিনি। ২ ম্য়াচ শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার ঝুলিতে ৪ পয়েন্ট। রান রেট +০.৬২৫। ইংল্য়ান্ডের থেকে অনেকটাই এগিয়ে। এই গ্রুপে ওয়েস্ট ইন্ডিজ বনাম ইংল্যান্ড ম্য়াচটি দুটো দলের কাছেই ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। আবার অঘটন ঘটানোর সম্ভাবনা রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র দলের কাছেও।