নয়াদিল্লি: হাতের নাগালেই ছিল শৃঙ্গজয়ের সুখ। তবে তীরে এসেই ডুবল তরী। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ঐতিহাসিক জয়ের থেকে মাত্র এক রান দূরে থামল নেপাল (SA vs NEP)। চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে (T20 World Cup 2024) সম্ভবত সবথেকে বড় অঘটন ঘটতে ঘটতেও ঘটল না। কোনওক্রমে জিতে নিজেদের ১০০ শতাংশ জয়ের রেকর্ড বজায় রেখেই সুপার এইটে গেল দক্ষিণ আফ্রিকা। অপরদিকে, নিউজ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে ধোপেই টিকল না উগান্ডা (NZ vs UGA)। আপাদমস্তক একপেশে এক ম্যাচ জিতে চলতি বিশ্বকাপে নিজেদের খাতা খুলল নিউজ়িল্যান্ড।
তিনে তিন করে আগেই সুপার এইটে পৌঁছে গিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে নেপালকে দুর্বল ভাবার ভুল যে দক্ষিণ আফ্রিকা করছে না, তা ম্যাচের আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন প্রোটিয়া অধিনায়ক এডেন মারক্রাম। রোহিত পওদেলের নেপাল দল কিন্তু আর একটু হলেই বড় অঘটন ঘটিয়েই ফেলছিল। তবে কয়েক ইঞ্চির জন্য হারতে হল তাদের। প্রথমবার টেস্ট খেলা দেশের বিরুদ্ধে জয়ের সুযোগ তৈরি করেও, শেষমেশ খালি হাতেই মাঠ ছাড়লেন পওদেলরা। শেষ হল তাঁদের সুপার এইটে পৌঁছনোর স্বপ্নও।
ম্যাচে প্রথমে বোলিং করে দক্ষিণ আফ্রিকাকে মাত্র ১১৫ রানেই রুখে দেয় নেপালের বোলাররা। বল হাতে কুশল ভুর্তেল ও দীপেন্দ্র আইরির স্পিনের জালে রানের গতি বাড়াতে ব্যর্থ হয় প্রোটিয়া তারকারা। প্রোটিয়াদের শতরানের গণ্ডি পার করাটাও বেশ চাপই মনে হচ্ছিল। তবে শেষের দিকে ট্রিস্টান স্টাবস ১৮ বলে অপরাজিত ২৭ রানের ইনিংস খেলে দলকে ১১৫ রান তুলতে সাহায্য করেন। রিজ়া হেন্ডরিক্স ৪৩ রান করলেও, গোটা ইনিংস জুড়েই সঠিক টাইমিং করতে চাপে পড়েন তিনি।
জবাবে নেপালের দুই ওপেনার মন্থর গতিতে হলেও ৩৫ রানের ভিত গড়ে দেন। এক সময় অনিল শাহ ও আসিফ শেখের দৌলতে মনে হচ্ছিল নেপাল অঘটন ঘটিয়েই ফেলবে। দুইজনে তৃতীয় উইকেটে ৫০ রানের পার্টনারশিপও গড়েন। তবে সেট অনিল শাহকে ফিরিয়ে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন মারক্রাম। এরপর স্পিনের জাল বোনেন তাবরেজ় শামসি। একে একে আসিফ (৪২), আইরিদের ফেরান তিনি। তবে নেপাল লড়াইয়ে ম্যাচের শেষ বল অবধি টিকে ছিল। শেষ বলে বাকি ছিল দুই রান। গুলশান ঝা নন স্ট্রাইকে রান আউট হওয়ায় জয়ের দোরগোড়ায় এসেও হারতে হয় নেপালকে।
অপরদিকে, উগান্ডার বিরুদ্ধে একপেশেভাবে জয় পেল নিউজ়িল্যান্ড। দুই দলই ইতিমধ্যেই টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গিয়েছে। তাই ম্য়াচটা উভয়ের জন্যই ছিল সম্মানরক্ষার লড়াই। সেই লড়াইয়ে কিউয়িরা প্রতিপক্ষকে কোনও সুযোগই দেয়নি। উগান্ডা নিজেদের পাওয়ার প্লেতে তিন উইকেট হারিয়ে মাত্র নয় রান তোলে। বিশ্বকাপের ইতিহাসে এটি কোনও দলের পাওয়ার প্লেতে সবথেকে কম স্কোর। মাত্র ৪০ রানেই শেষ হয়ে যায় উগান্ডার ইনিংস। পাঁচ কিউয়ি বোলারই উইকেট পান। তবে তিন উইকেট নিয়ে সফলতম বোলার টিম সাউদি।
জবাবে ফিন অ্যালেন শুরুতে চাপে পড়লেও, আরেক ওপেনার ডেভন কনওয়ে ২২ রানের ইনিংসে দলের জয় সুনিশ্চিত করে। ৮৮ বল হাতে রেখে নয় উইকেটে ম্যাট জেতে কিউয়িরা। এটাই এবারের বিশ্বকাপে কেন উইলিয়ামসনের দলের প্রথম জয়।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন: নজরে কোহলির ফর্ম, অপরাজিত থেকে সুপার এইটে যাওয়ার লক্ষ্যে কানাডার বিরুদ্ধে নামছে ভারত