বার্বাডোজ: এই আফগানিস্তান অঘটন ঘটাতেই পারে। এমন একটা আশঙ্কা কিন্তু ম্য়াচের আগেই করেছিলেন বিশেষজ্ঞরা। ভারতের ব্যাটিংয়ের শেষে অন্তত চিন্তামুক্ত হওয়া সম্ভব হচ্ছে না। ব্যাট হাতে রোহিত ব্যর্থ হলেন। বিরাট কোহলি ওপেনে নেমে আরও একবার ক্রিজে সেট হয়েও রান পেলেন না। একের পর এক ম্য়াচ সুযোগ পেয়ে তা কাজে লাগাতে ব্যর্থ শিবম দুবে (Shivam Dube)। একমাত্র ত্রাতা হয়ে উঠলেন সূর্যকুমার যাদব (Suryakumar Yadav)। অর্ধশতরান হাঁকালেন তিনি। রান পেলেন হার্দিক। ভারতীয় দল মিডল অর্ডারের সৌজন্যেই ১৮১/৮ বোর্ডে তুলে নিল নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে। আফগান বোলিং বিভাগকে নেতৃত্ব দিলেন রাশিদ খান। একাই তিন উইকেট তুলে নিলেন তিনি। যার মধ্যে রয়েছে বিরাট কোহলির উইকেটও। 


টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন রোহিত শর্মা। এদিন একটি মাত্র পরিবর্তন করেছিল ভারতীয় দল। একাদশে ঢুকেছিলেন কুলদীপ যাদব। মহম্মদ সিরাজকে বেঞ্চে বসতে হয়েছিল। ওপেনে অবশ্য রোহিত ও বিরাটই নামেন। কিন্তু আরও একবার এই ওপেনিং জুটি ব্যর্থ হলেন। ভারত অধিনায়ক মাত্র ৮ রান করে ফারুকির শিকার হয়ে ফিরলেন। বিরাট এদিন ক্রিজে সেট হয়ে গিয়েছিলেন। তবে ২৪ রান করে রাশিদ খানের বলে ক্যাচ আউট হয়ে গেলেন। তবে ২ জনের স্ট্রাইক রেট সবচেয়ে বেশি চিন্তার কারণ হতে পারে ভারতীয় দলের কাছে এই ফর্ম্য়াটের ক্রিকেটে। তিন নম্বরে নেমে পন্থ ভাল শুরু করেও ২০ রান করে ফিরে যান। আরও একবার ব্যর্থ হলেন শিবম দুবে। মাত্র ৭ বলে ১০ রান করে রশিদের বলে লেগবিফোর হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরলেন তিনি। এরপর সূর্যকুমার ও হার্দিক মিলে দলের হাল ধরেন। দু জনে মিলে ৬০ রানের পার্টনারশিপ গড়ে তোলেন। সূর্যকুমার ছিলেন বেশি আক্রমণাত্মক মেজাজে। আগের ম্য়াচেও অর্ধশতরান হাঁকিয়েছিলেন। এদিনও তাঁর ব্যাট থেকে এল অর্ধশতরানের ইনিংস। ২৮ বলে ৫৩ রানের ইনিংসে ৫টি বাউন্ডারি ও ৩টি ছক্কা হাঁকান সূর্য। তিনি ফিরে যাওয়ার পর হাত খোলেন হার্দিক। যদিও ৩২ রান করেই ফেরেন ভারতের সহ অধিনায়ক। জাডেজা মাত্র ৭ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। লোয়ার অর্ডারে ৬ বলে ১২ রান করেন অক্ষর পটেল। 


আফগানিস্তান বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল রশিদ। বিরাট, পন্থ ও দুবের উইকেট নেন তিনি। ফারুকিও ৩ উইকেট নেন।