মুম্বই: সেই ২০০৮ থেকে শুরু হয়েছিল। এটা ২০২৪। ১৬ বছরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কেরিয়ার কাটিয়ে ফেলেছেন। বছর ৩৫ পেরিয়েছে। দেশের জার্সিতে আজও যখনই মাঠে নামেন তাঁর থেকে বেশি প্রাণবন্ত বোধহয় দলের কেউ থাকেন না। কেরিয়ারের সায়াহ্নে পৌঁছেছেন। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতে এই ফর্ম্য়াটকে আলবিদা জানিয়েছেন ইতিমধ্যেই। সেদিন কেঁদেছিলেন। সেদিন তিনি মাঠেও নেমেছিলেন চ্য়াম্পিয়ন হওয়ার পর। এদিন ওয়াংখেড়েতেও শাে স্টপার যেন তিনিই। সংবর্ধনা মঞ্চ থেকে পুরস্কার ও সংবর্ধনা নেওয়ার পর গোটা মাঠ প্রদক্ষিণ করেছিলেন ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীরা। তখনই বারবার নাচে-গানে দর্শকদের মাতালেন বিরাট কোহলি। ভারতীয় ক্রিকেটের পোস্টার বয়। ভারতীয় ক্রিকেটের প্রাণ বলা ভাল। 


ওয়াংখেড়েতে ভারতীয় ক্রিকেটাররা যখন মাঠ প্রদক্ষিণ করছেন, তখন লুপে বাজছে বন্দে মাতরম। হঠাৎ বিরাটই এগিয়ে এসে দর্শকদের দিকে তাকিয়ে হাত তুলে গলা মেলানো শুরু করলেন। তাঁর সঙ্গে দিলেন হার্দিক পাণ্ড্য, কুলদীপ যাদব, অক্ষর পটেলরাও। আর এঁদের দেখে দর্শকরাও যেন আরও বেশি করে উজ্জীবিত হয়ে উঠলেন। বিশ্বজয়ীদের সঙ্গে গলা মিলিয়ে গান গাওয়া শুরু করলেন ওয়াংখেড়ের হাজার হাজার দর্শক। ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড তাদের সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিও পোস্ট করেছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে কীভাবে হাত তুলে বিরাট ও হার্দিকরা গান করছেন 'বন্দে মাতরম'।


 






বাের্ডের সংবর্ধনা মঞ্চে উঠে নিজের স্মরণীয় টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট কেরিয়ার নয়, বিরাটের মুখে অন্য একজনের নাম। তিনি যশপ্রীত বুমরা। ফাইনালের শেষ পাঁচটি ওভারের দুটো ওভারে যিনি দলকে খাদের কিনার থেকে টেনে তুলেছিলেন। এছাড়াও বারবার দেশের জার্সিতে শেষ মুহূর্তে ম্য়াচের রং বদলে দিয়েছেন। কোহলি বলছেন, ''একজনের নাম আমি আলাদা করে উল্লেখ করতেই চাই। যে আমাদের জন্য বারবার সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে। যে বারবার আমাদের ম্য়াচে ফিরিয়েছে। শেষ পাঁচ ওভারের দুটো ওভার ও যা করেছে, তা এককথায় অনবদ্য। একটা প্রজন্মে এমন একজনই বোলার আসে, বুমরার বিকল্প কেউ নেই।''


ফাইনালে ৭৬ রানের ইনিংস খেলেছিলেন। ম্য়াচের সেরার পুরস্কারও জিতেছিলেন। আর বিশ্বকাপ জিতেই টি-টোয়েন্টি ফর্ম্যাটকেও বিদায় জানিয়েছেন। এদিনের মঞ্চ থেকেও বলে গেলেন, ''এবার আগামী প্রজন্মকে এই ভারতীয় ক্রিকেটের ঐতিহ্য বয়ে নিয়ে যেতে হবে।''