বার্বাডোজ: শুরুতেই রহমনউল্লাহ গুরবাজের উইকেট তুলে নিয়েছিলেন বুমরা। আর সেখানেই হয়ত ম্য়াচের ৫০ শতাংশ হেরে গিয়েছিল আফগানিস্তান শিবির। বাকিটা ছিল খাতায় কলমে ভারতীয় দলের (Indian Cricket Team) জয় ছিনিয়ে নেওয়া। কেকেআর তারকা যে ফর্মে রয়েছেন, তাতে তিনিই যে প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেন ভারতের জয়ের পথে, তা সবাই জানত। আফগানিস্তানের ব্যাটিংয়ের প্রথম ওভারে ১৩ রান বোর্ডে তুলে ফেলেছিলেন একটি বাউন্ডারি ও একটি ছক্কা হাঁকিয়ে। কিন্তু তিনি ফিরতেই একের পর এক প্যাভিলিয়নের রাস্তা দেখলেন। ১৮২ তাড়া করতে নেমে ১৩৪ এই অল আউট হল আফগান শিবির। ৪৭ রানে ম্য়াচ জিতে টুর্নামেন্টে এখনও অপরাজিত থাকল ভারত। ম্যাজিকাল স্পেল বুমরার। ম্য়াচের সেরা হলেন সূর্যকুমার যাদব। 


আফগানিস্তানের যদি একটা রশিদ খান থাকে, তো ভারতেরও একটা বুমরা রয়েছেন। রশিদ ভারতীয় ব্যাটিং লাইন আপে ভাঙন ধরিয়েছিলেন বিরাট, পন্থদের ফিরিয়ে। আর বুমরার ম্য়াজিকাল স্পেলের সামনে উইকেট তো ছুড়ে এলেনই আফগান ব্যাটাররা, এমনকী কোনও রানও করতে পারলেন না। ভারতের তারকা পেসারের এদিনের স্পেল ৪-১-৭-৩। তাঁকে যোগ্য সঙ্গ দিলেন অর্শদীপ সিংহ, অক্ষর পটেল ও কুলদীপ যাদব। চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজের প্রথম ম্য়াচ খেলতে নেমেছিলেন ভারতের চায়নাম্য়ান। আর প্রথম ম্য়াচেই ২ উইকেট তুলে নিলেন কুলদীপ। জাজাই ও জাদরানের ব্যাট থেকে এল ২ ও ৮ রান। মিডল অর্ডারে গুলবদিন ও ওমরজাই মিলে কিছুটা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করলেও ভারতের শক্তিশালী বোলিং লাইন আপের প্রশ্নের কোনও জবাবই ছিল না তাদের কাছে। গুলবদিন ১৭, ওমরজাই ২৬ ও নাজিবুল্লাহ ১৯ রান করেন। ১৪ রানের ইনিংস খেলেন মহম্মদ নবি। এদিন তো হ্যাটট্রিকের সুযোগও পেয়ে গিয়েছিলেন নিজের তৃতীয় ওভারে অর্শদীপ। পরপর ২ বলে রশিদ ও নবীনকে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু যদিও শেষ পর্যন্ত হ্যাটট্রিক করতে পারেননি। তবে ১৩৪ রানেই শেষ পর্যন্ত অল আউট হয় আফগান শিবির। কফিনে শেষ পেরেকটিও পুঁতে দেন অর্শদীপই। 


বুমরার দুরন্ত স্পেল এদিন দেখা গেলেও ভারতের জয়ের ভিত গড়ে দিয়েছিলেন সূর্যকুমার যাদবই। তিনি ৫৮ রানের ইনিংস খেলেই দলের স্কোর ১৮১ তে পৌঁছে দিয়েছিলেন। তাই তাঁকেই ম্য়াচের সেরা নির্বাচিত করা হয়। শনিবার বাংলাদেশের বিরুদ্ধে খেলতে নামবে ভারত তাঁদের সুপার এইটের দ্বিতীয় ম্য়াচে।