সেঞ্চুরিয়ন: দক্ষিণ আফ্রিকার (India vs South Africa) বিরুদ্ধে তৃতীয় টি-টোয়েন্টি ম্য়াচে দুরন্ত শতরান হাঁকিয়েছিলেন তিলক ভার্মা (Tilak Verma)। নিজের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কেরিয়ারের প্রথম শতরান। শুধু ব্যক্তিগত মাইলস্টোনই নয়, দলকে জিতিয়ে ম্য়াচের সেরার পুরস্কারও জিতে নিয়েছেন আইপিএলে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের সদস্য। কিন্তু চোট আঘাত যে এই ছোট্ট কেরিয়ারের বারবার হানা দিয়েছে এখনই, ম্য়াচের শেষে সে কথাই জানালেন তিলক।
বুধবার ম্য়াচ শেষে সাংবাদিক বৈঠকে এসে তিলক বলেন, ''আইপিএলে শেষ ম্যাচের সময় আমি একটু চোট পেয়েছিলাম। হাড় ভেঙেছিল। এরপর অনুশীলনে ফের চোট পাই। যার দরুন জিম্বাবোয়ে ও শ্রীলঙ্কা সিরিজ থেকে ছিটকে গিয়েছিলাম। সে সময় ভীষণ হতাশ হয়ে পড়েছিলাম। কিন্তু ধীরে ধীরে নিজের মনকে বুঝিয়েছিলাম যে আমার সময়ও আসবে। শুধু প্রসেসের মধ্যে দিয়ে যেতে চাইছিলাম। রিহ্যাবে সময় দিয়েছিলাম প্রচুর।'' দক্ষিণ আফ্রিকা সফরেও প্রথম দুটো ম্য়াচে রান আসেনি। তব তৃতীয় ম্য়াচে তাঁর ৫৬ বলে অপরাজিত ১০৭ রানের ইনিংসই দুশোর গণ্ডি পেরিয়ে যেতে ভারতকে সাহায্য করে। সিরিজ ধরে রাখার জন্য় এই ম্য়াচে জয় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল ভারতের কাছে। যাতে সাহায্য করেন তিলক। তরুণ ব্যাটার বলেন, ''আগের দুটো ম্য়াচে রান পাইনি। কিন্তু অধিনায়ক আমাকে সবসময় সমর্থন জুগিয়ে চলেছেন। নিজের ওপরও বিশ্বাস ছিল যে আমি পারব।''
দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে প্রথম দুই টি-টোয়েন্টি ম্যাচে যথাক্রমে ৩৩ ও ২০ রান করেছিলেন তিলক। ভাল খেললেও বড় রানের ইনিংস আসছিল না। তবে সেঞ্চুরিয়ানে জ্বলে উঠলেন বাঁ-হাতি ব্যাটার। এই ম্যাচে তিলক কিন্তু আগের দুই ম্যাচের মতো চার নয়, বরং তিন নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমেছিলেন। ম্যাচ শেষে সূর্যকুমার এই বদলের কারণটি জানান। তিনি বলেন, 'তিলক বর্মার বিষয়ে আর নতুন করে কীই বা বলব! ও গকেবেরহাতে আমার রুমে এসেছিল। তিন নম্বর ব্যাটিংয়ে নামার অনুরোধ করে ও। আমি ওকে শুধু বলেছিলাম মাঠে নেমে নিজের খেলাটা খেল। ও যা কথা দিয়েছিল সেই কথা রেখেছে। ওর আর ওর পরিবারের জন্য আমি খুব খুব খুশি।'
উল্লেখ্য়, নির্ধারিত ২০ ওভারে ভারতীয় দল সাত উইকেটের বিনিময়ে ২১৯ রান তোলে। জবাবে দক্ষিণ আফ্রিকা ২০৮ রানের বেশি করতে পারেনি। ১১ রানে ম্যাচ জিতে সিরিজ়ে ২-১ এগিয়ে গিয়েছে ভারতীয় দল।