নয়াদিল্লি: প্রায় মাসখানেক আগে এশিয়া কাপের ফাইনাল শেষ হয়ে গিয়েছে। পাকিস্তানকে হারিয়ে সেই ম্যাচে জিতেছিল ভারতীয় ক্রিকেট দল। তবে ম্যাচশেষের পর ট্রফি নেওয়াকে কেন্দ্র করে চলে চূড়ান্ত নাটক। এসিসি তথা পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান মহসিন নকভির হাত থেকে ট্রফি নেওয়া প্রত্যাখ্যান করে ভারতীয় দল। সেই ট্রফি আজও ভারতের ক্রিকেট বোর্ডের হেডকোয়ার্টারে আসেনি। ওইদিন ফাইনালের পর ঠিক কী ঘটেছিল, সেই বিষয়ে খোলসা করলেন ফাইনালের নায়ক তিলক বর্মা।
তিলক জানান তিন ম্যাচ শেষের পর মাঠে ট্রফি নেওয়ার জন্যই অপেক্ষা করছিলেন। তবে ঘণ্টাখানেক পেরিয়ে গেলেও ট্রফি তাদের হাতে উঠেনি। তিলক বলেন, 'আমরা ঘণ্টাখানেক মাঠেই অপেক্ষা করছিলাম। টিভির ফুটেজগুলি দেখলেই দেখতে পাবেন আমি সেইসময় মাঠে শুয়ে ছিলাম। বাকিরাও একই অবস্থায় ছিলেন। কেবল অর্শদীপ সিংহ রিল বানাচ্ছিল। আমরা অপেক্ষা করতে করতে ভাবছিলাম এই হয়তো ট্রফি আসবে। তবে ঘণ্টখানেক হয়ে গেলেও ট্রফিটি আমাদের হাতে উঠেনি। আমরা এদিক ওদিক খুঁজছিলাম, তবে ট্রফিটি দেখতে পর্যন্ত পায়নি।'
ট্রফি হাতে না পেলেও, ভারতীয় দলের ওই রাতে সেলিব্রেশন কিন্তু থামেনি। ট্রফি ছাড়াই, কাল্পনিক ট্রফি হাতে সূর্যকুমার যাদবের নেতৃত্বাধীন ভারতীয় দলকে পোডিয়ামে ওই রাতে সেলিব্রেশনে মাততে দেখা যায়। এই গোটা বিষয়টিও অর্শদীপ সিংহের মস্তিষ্কপ্রসূত বলেই জানান তিলক। 'অর্শদীপ বলেছিল, চল সবাই মিলে একটা পরিবেশ তৈরি করি। ওই বলেছিল ২০২৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মতোই, একই ভঙ্গিমায় আমাদের সেলিব্রেশন করা উচিত, খালি গোটাটাই হবে ট্রফি ছাড়া। আমি, অভিষেক শর্মাসহ আরও পাঁচ, ছয়জন তাতে সম্মতি দেওয়ায় আমরা তেমনভাবেই সেলিব্রেট করি।' বলেন ফাইনাল জয়ের নায়ক।
Telecom Asia Sport-র রিপোর্ট অনুযায়ী বিসিসিআই এবং এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের মধ্যে হালে একাধিক চিঠিপত্র আদান প্রদান করা হয়েছে। এরপরেই ১০ নভেম্বর নকভি ভারতকে এশিয়া কাপ ট্রফি হস্তান্তর করতে রাজি হয়েছেন। করাচিতে নকভি রিপোর্টারদের বলেন, 'বিসিসিআইয়ের সঙ্গে বহু চিঠিপত্র আদানপ্রদান হয়েছে। এরপরে এসিসির তরফে ওদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে ট্রফি দেওয়ার জন্য ১০ নভেম্বর দুবাইয়ে আমরা ভারতীয় অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব এবং তার দলের খেলোয়াড়দের বিসিসিআইয়ের আধিকারিক রাজীব শুক্লর সঙ্গে হোস্ট করতে তৈরি।'
তবে পিটিআইয়ের প্রকাশিত একটি ভিন্ন রিপোর্ট অনুযায়ী ভারতীয় বোর্ড কিন্তু এখনও নিজেদের এই সিদ্ধান্তে অনড়। সেই রিপোর্টে দাবি করা হচ্ছে ভারতীয় দল এসিসির সদস্য আরও দুই দেশ আফগানিস্তান এবং শ্রীলঙ্কার থেকে সমর্থন পেয়েছে। সেই সমর্থন পাওয়ার পর ভারত নকভির হাত থেকে দুবাইয়ে এসিসির হেডকোয়ার্টারে ট্রফি নেওয়ার সুযোগ ফের একবার প্রত্যাখ্যান করে দিয়েছে। পরিবর্তে তারা এই বিষয়টি পরবর্তী মাসেই আয়োজিত আইসিসির বোর্ড মিটিংয়ে তুলতে আগ্রহী। ৪ থেকে ৭ নভেম্বর এই বৈঠকটি আয়োজিত হবে।