মুম্বই: ব্যাট হাতে গোটা বিশ্বে দাপট দেখিয়েছেন। ক্রিকেট ইতিহাসে সর্বাধিক রান, সর্বাধিক শতরান সবকিছুর মালিকই তিনি। সচিন রমেশ তেন্ডুলকর। কিংবদন্তি প্রাক্তন এই ভারতীয় ব্যাটারের ব্যাটিং আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে একের পর এক মাইলস্টোন গড়ার কারিগর তিনি। তবে বল হাতেও কিন্তু অনেক ম্য়াচেই চমক দেখিয়েছিলেন মাস্টার ব্লাস্টার। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন ভারতীয় দলে এক্স ফ্যাক্টর ছিলেন বোলার সচিন। তাঁর লেগব্রেক অনেক তাবড় তাবড় ব্য়াটারকেই সমস্যায় ফেলেছিল। ঠিক যেমন মুলতানে পাকিস্তান ক্রিকেট দলের ব্যাটারদের সমস্যায় ফেলেছিলেন ২০০৪ সালে।
টেস্টে ২০০ ম্য়াচ খেলে এখনও পর্যন্ত ৪৬ উইকেট ঝুলিতে পুরেছেন সচিন তেন্ডুলকর। ১০ রানের বিনিময়ে ৩ উইকেট ঝুলিতে সেরা বোলিং ফিগার। মুলতানে ২০০৪ সালে ঐতিহাসিক ভারত-পাকিস্তান টেস্ট বিখ্যাত হয়ে আছে বীরেন্দ্র সহবাগের ৩০৯ রানের ইনিংসের জন্য। আবার সেই ম্যাচেই সচিন ১৯৪ রানে অপরাজিত থাকার সময় রাহুল দ্রাবিড়ের আচমকা ইনিংস ডিক্লেয়ার করে দেওয়ার ঘটনাও বেশ আলোচনার কেন্দ্রে ছিল। সেই ম্য়াচে তৃতীয় দিনের শেষে সচিন বল করছিলেন। সেই ম্য়াচের আগে নাকি মঈন খানকে সচিন বলেছিলেন যে, 'তোমার উইকেট আমিই নেব' আর ঠিক সেটাই হয়েছিল। মঈনকে আউট করে দিয়েছিলেন সচিন সেই ম্য়াচে। মুলতানে ভারত ইনিংস ও ৫২ রানে জয় ছিনিয়ে নিয়েছিল।
সেই ম্য়াচে চোটের জন্য খেলতে পারেননি তৎকালিন অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় (Sourav Ganguly)। তাঁর বদলে অধিনায়ক ছিলেন রাহুল দ্রাবিড়। সেদিন সচিন যখন ১৯৪ রানে অপরাজিত ছিলেন সচিন। তখনই দ্রাবিড় ইনিংস ডিক্লেয়ার করে দিয়েছিলেন। সেই সিদ্ধান্ত নিয়ে অনেকেই চমকে গিয়েছিলেন সেদিন। কেন দ্বিতশতরানের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে থাকা সচিনকে আর ব্যাট করার সুযোগ দিলেন না দ্রাবিড়, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছিল। কিছুদিন আগে প্রাক্তন ভারতীয় ওপেনার আকাশ চোপড়া বলেছিলেন, ''আমি সেই সময় ড্রেসিংরুমে ছিলাম। কিন্তু সত্যি বলতে আমি একেবারেই চাইনি যে কারও কথার মাঝে ঢুকতে। কারণ আমি অত্যন্ত ছোট ছিলাম বাকিদের তুলনায় সেই সময়। কিন্তু আমি সচিন পাজিকে সেদিন দেখেছিলাম। একেবারেই খুশি ছিলেন না তিনি সেদিনের সিদ্ধান্তে। আমি হয়ত প্রথমবার ওঁকে এমন অখুশি দেখেছিলাম।''