ব্লুমফন্টেন: চলতি যুব বিশ্বকাপে (U19 World Cup 2024) পাঁচে পাঁচ করে ফেলল ভারতীয় দল। ব্যাট হাতে অধিনায়ক উদয় শরণ ও সচিন দাসের ঐতিহাসিক পার্টনারশিপে ভর করে বোর্ডে বড় রান তুলেইছিল ভারতীয় অনূর্ধ্ব ১৯ দল। তারপর বল হাতে সৌম্য পাণ্ডের (Saumy Pandey) দাপট। টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ উইকেটসংগ্রাহক চার উইকেট নিয়ে নেপালের (IND U19 vs NEP U19) পরাজয় সুনিশ্চিত করেন। উদয়দের ২৯৭ রানের জবাবে নির্ধারিত ৫০ ওভারে নয় উইকেটের বিনিময়ে ১৬৫ রানেই থেমে গেল নেপালের ইনিংস। ১৩২ রানে জয় পেল ভারত।

  


বড় রান তাড়া করতে নেমে নেপালের দুই ওপেনার দীপক বোহরা এবং অর্জুন কুমাল কিন্তু শুরুটা মন্দ করেননি। ৪৮ রান যোগ করেন দুই নেপালি ওপেনাররা। এই প্রথমবার গোটা টুর্নামেন্টে ভারতীয় বোলাররা প্রথম পাওয়ার প্লেতে একটি উইকেটও নিতে পারেনি। তবে ওপেনিং পার্টনারশিপ ভাঙার পরেই নেপালের ইনিংস তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে। ২৯ রানের ব্যবধানে সাত উইকেট হারায় নেপাল। 


নেপালের গোটা মিডল অর্ডারের কেউই বড় রান করা তো দূর, দুই অঙ্কের রানও করতে পারেননি। তবে দশম উইকেটে আকাশ চন্দ এবং দুর্গেশ গুপ্ত অপরাজিত ৪৫ রান যোগ করেন, যা নেপালের ক্ষেত্রে বেশ ইতিবাচক। ভারতের হয়ে এদিন ফের একবার বল হাতে সৌম্য পাণ্ডে অনবদ্য পারফর্ম করেন। তিনিই সর্বাধিক চারটি উইকেট নেন। ব্যাট হাতে রান না পেলেও বল হাতে অর্শিন দুই উইকেট নেন। তবে নেপালকে ভারত অল আউট করতে ব্যর্থ হয়। আকাশ ও দুর্গেশ অপরাজিতই থাকে। তাতে অবশ্য ভারতের বড় ব্যবধানে জয়টা থামেনি।  


প্রথম ইনিংস


ভারতীয় টপ অর্ডারের তিনজনই শুরুটা ভাল করলেও, কেউই বড় রান করতে পারেননি। ৬২ রানে তিন উইকেট হারিয়ে খানিকটা চাপেই পড়ে গিয়েছিল ভারতীয় দল। তবে দলকে রক্ষা করে মিডল অর্ডার। অধিনায়ক উদয় শাহারণ ও সচিন দাস শুধু রক্ষাই করেন না একেবারে ইতিহাসও গড়ে ফেলেন। দুইজনে মিলে চতুর্থ উইকেটে ভারতের হয়ে মোট ২১৫ রান যোগ করেন। এটি ভারতীয় অনূর্ধ্ব ১৯ দল তো বটেই, এমনকী ইয়ুথ ওয়ান ডের ইতিহাসেও সর্বকালের সর্বাধিক চতুর্থ উইকেটের পার্টনারশিপ। ড্যান ক্রিশ্চিয়ান এবং ক্যামেরন হোয়াইটের ২১২ রানের পার্টনারশিপের রেকর্ড ভাঙলেন উদয়রা।


নেপালের হয়ে এদিন বল হাতে দিনটা ছিল গুলশন ঝার। তিনিই ভারতের পড়শি দেশের তিন তিনটি উইকেট নেন। দুই শতরানকারীকেও তো ইনিংসের শেষ লগ্নে তিনিই আউট করেন। সচিনের সংগ্রহ ১১৬ রান, উদয় করেন ১০০। তবে নিজের স্বাভাবিক জায়গা থেকে অনেকটাই নীচে, ছয়ে নেমে মুশির খান এদিন রান পাননি। তিনি সাত বল খেলে নয় রানে অপরাজিত থাকেন।  


তবে তাতে ভারতের জয় আটকে থাকেনি। টুর্নামেন্টে নাগাড়ে পাঁচ ম্যাচ জিতে এই নিয়ে টানা পাঁচ নম্বর বার অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে নিজেদের জায়গা পাকা করে নিল ভারত। 


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে 


আরও পড়ুন: চোখধাঁধানো শতরান যশস্বীর, প্রথম দিনশেষে চালকের আসনে ভারত