মুম্বই: এক সময় বলা হতো, ক্রিকেটীয় মুন্সিয়ানায় তিনি সচিন তেন্ডুলকরের (Sachin Tendulkar) সমতুল্য। দুজনেরই শিক্ষাগুরু একজনই। প্রবাদপ্রতিম রমাকান্ত আচরেকর।
কিন্তু সচিন যখন নিষ্ঠার সঙ্গে শৃঙ্খলার মিশেলে নিজের ক্রিকেটীয় মেধাকে মাঠে ফুটিয়ে তুলেছিলেন, বিনোদ কাম্বলি (Vinod Kambli) উশৃঙ্খল জীবন যাপনে নিজের ক্রিকেটীয় প্রতিভাকে বিসর্জন দিয়েছিলেন কার্যত। সচিনের সঙ্গে চরিত্রগতভাবেও অমিল প্রবল। শিবাজি পার্কে সচিন যখন গুরু আচরেকরের নির্দেশ মেনে ব্যাটিং অনুশীলন সারতেন, কাম্বলি মাঠে কেটে পড়া ঘুড়ির সুতো হাতে নিয়ে ওড়াতে শুরু করতেন।
তবে দিন দুয়েক আগে যখন কাম্বলির একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়, যে ভিডিওতে অসুস্থ শরীরের কার্যত হাঁটতে পারছেন না, এমন অবস্থায় দেখা যায় প্রাক্তন ক্রিকেটারকে, উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিলেন সচিনও। গোটা ভারতীয় ক্রিকেট মহলই দুশ্চিন্তা শুরু করে দিয়েছিল। ক্রিকেট থেকে দীর্ঘদিন দূরে সরে থাকার পর সচিনের উদ্যোগেই কোচ হিসাবে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করেছিলেন কাম্বলি। সচিনের সঙ্গে ক্রিরেট ক্লিনিকও খুলেছিলেন। ফের কী করে হল কাম্বলির এমন দশা?
উৎকণ্ঠা গ্রাস করেছিল কাম্বলির দুই বাল্যবন্ধু - রিকি ও মার্কাস কুটোকে। যাঁরা একসঙ্গে ক্রিকেটও খেলেছেন। মার্কাস পরে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে আম্পায়ারিংও করেন। দুই কুটো ভাই মিলে বান্দ্রার জুয়েল কো অপারেটিভ সোশ্যাইটির আবাসনের পাঁচতলায় কাম্বলির ফ্ল্যাটে হাজির হন।
তবে স্কুলের সহপাঠীর সঙ্গে দেখা করে বেরিয়ে স্বস্তির খবরই দিয়েছেন রিকি ও মার্কাস। জানিয়েছেন, তাঁদের দেখে শুরুতেই থাম্বস আপ দেখান কাম্বলি। বলেন, 'আমি বেঁচে রয়েছি। সুস্থ ও ফিট রয়েছি। তিন নম্বরে ব্যাটিং করার জন্য প্রস্তুত। শিবাজি পার্কে নামলে এখনও স্পিনারদের বল মাঠের বাইরে ওড়াতে পারি। যেমন আগেও ওড়াতাম।'
দুই বাল্যবন্ধুর সঙ্গে হাসিঠাট্টায় সময় কাটিয়েছেন কাম্বলি। ভারতের হয়ে যিনি ১৭ টেস্টে ১০৮৪ রান করেছেন। ১০৪টি ওয়ান ডে ম্যাচে ২৪৭৭ রান করেছিলেন কাম্বলি। ১৯৯৬ সালে ইডেনে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ভারতের পরাজয়ের রাতে কাম্বলির কান্না ভারতের প্রত্যেক ক্রিকেটপ্রেমীর হৃদয়ে ঝড় তুলেছিল।
আরও পড়ুন: চেয়েচিন্তে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের খরচ উঠত, খাবার জোগাড় করতেই হিমশিম খেতেন নাদিম