কলকাতা: সিএবি-র স্থানীয় ক্রিকেটে খেলেন শ্যামবাজার ক্লাবের জার্সি পরে। ক্লাবের হয়ে ব্যাটিং করেন তিন নম্বরে। তবে বাংলার হয়ে ইনিংস ওপেন করছেন। আর নতুন ব্যাটিং পোজিশনে নজরও কেড়ে নিচ্ছেন।


শুক্রবার অনূর্ধ্ব ১৯ বিনু মাঁকড় ট্রফিতে (Vinoo Mankad Trophy) নায়ক অঙ্কিত চট্টোপাধ্যায়। ইনিংস ওপেন করে বাঁহাতি ব্যাটার ৯১ বলে ১১৫ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেললেন। ১৪৮ মিনিটের ইনিংসে ছিল ৭ চার ও ৯ ছক্কা। তাঁর দাপটেই ওড়িশার বরাবাটি স্টেডিয়ামে অসমের বিরুদ্ধে প্রথমে ব্যাট করে বাংলা তোলে ৩০৯/৭। জবাবে মাত্র ৮০ রানে শেষ হয়ে যায় অসমের ইনিংস। ২২৯ রানের বিশাল ব্যবধানে ম্যাচ জিতে ৪ পয়েন্ট পেল বাংলা।


অঙ্কিতের বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁয়। গত মরশুম থেকে শ্যামবাজার ক্লাবে খেলছেন। ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি অফস্পিন বলও করেন। ময়দানের কারও কারও মতে, নিজেকে ধরে রাখতে পারলে অনেক দূর যাবেন। আপাতত বিনু মাঁকড় ট্রফিতে ছাপ ফেললেন। অঙ্কিত ছাড়াও রান পেয়েছেন অগ্নিশ্বর দাস (৪৯), আশুতোষ কুমার (৪৬)। জবাবে ৩৯.৫ ওভারে ৮০ রানে অল আউট হয়ে যায় অসম। দেবাংশু পাখিরা ২৩ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন।


আরও পড়ুন: বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সিরিজ জয়ের পরই অযোধ্যায় রামমন্দিরে পুজো দিয়ে এলেন আকাশ দীপ





বাবা কিংবদন্তি ক্রিকেটার। বিধ্বংসী ব্যাটিং করে গোটা বিশ্বের কুর্নিশ অর্জন করে নিয়েছিলেন। টেস্ট ম্যাচেও ব্যাটিং করতেন ওয়ান ডে ক্রিকেটের ঢঙে। এবার বাইশ গজে ব্যাট হাতে নজর কেড়ে নিলেন সেই বীরেন্দ্র সহবাগের পুত্র আর্যবীর সহবাগ। বিনু মাঁকড় ট্রফিতে দিল্লির জয়ের ভিত তৈরি করে দিলেন সহবাগ-পুত্র। মণিপুরের বিরুদ্ধে ৪৯ রান করলেন। পুদুচেরিতে মণিপুরকে ৬ উইকেটে হারাল দিল্লি। 


১৬৯ রান তাড়া করতে নেমে ৬৪ বলে ৪৯ রান করেন আর্যবীর। ৬ চার ও এক ছক্কায় সাজানো ছিল তাঁর ইনিংস। ট্রায়াল ম্যাচেও ১৩৬ বলে ১৮৩ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে দিল্লি দলে জায়গা পাকতা করে নিয়েছিলেন। বাবার পথ ধরেই যেন চলার ইঙ্গিত দিয়ে রাখলেন আর্যবীর।


আরও পড়ুন: অধিনায়ক অনুষ্টুপ, ফিরলেন ঋদ্ধি, শামিকে ছাড়াই রঞ্জি ট্রফির প্রথম ২ ম্যাচের বাংলা দল